সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) নিয়ে বিবিসির (BBC) দুই পর্বের বিতর্কিত তথ্যচিত্র নিয়ে দেশের রাজনীতি সরগরম। কংগ্রেস-সহ বেশ কিছু বিরোধী দলের দাবি, ব্রিটেনের জাতীয় সম্প্রচারকারী সংস্থাকে সমঝে দিতেই সম্প্রতি তাদের মুম্বই ও দিল্লির অফিসে আয়কর হানা চালিয়েছে কেন্দ্রের। উদ্বেগ প্রকাশ করে এই বিষয়ে বিবৃতি জারি করেছে ‘এডিটরস গিল্ড’। এর মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে বিবিসির দিল্লি কার্যালয়ে আয়কর হানার একটি ভিডিও। যেখানে দেখা গিয়েছে, এক আয়কর কর্তা ও বিবিসি কর্মীদের বচসার ছবি। সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বিবিসি অফিসে আয়কর দপ্তরের এক আধিকারিক রাগত ভঙ্গিতে কথা বলছেন। বিবিসি কর্মীরা তাঁকে ওয়ারেন্ট দেখাতে বললে ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের পরিচয় দেন। তিনি বিবিসি কর্মীদের ফোন রেখে দেওয়ারও নির্দেশ দেন। ওই সময় একজন মহিলা কর্মীর কণ্ঠস্বর শোনা যায়। তিনি আয়কর কর্তাকে চিৎকার না করে ভদ্র ভাবে কথা বলতে বলেন। যদিও চিৎকার থামাননি আয়কর দপ্তরের আধিকারিক। তিনি পালটা প্রশ্ন তোলেন, বিবিসির কর্মীরা কেন দশ মিনিট দেরিতে কার্যালয়ের গেট খুলছেন?
[আরও পড়ুন: সহপাঠীরা হেনস্তা করত, জাতিবিদ্বেষের শিকার হয়েছে! বম্বে IIT পড়ুয়ার মৃত্যুতে দাবি পরিবারের]
এই ভিডিও টুইটারে পোস্ট করেছেন সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির নাগাল্যান্ডের মিডিয়া কোঅর্ডিনেটর সুজাতা পাল। যা ভাইরাল হয়েছে। আয়কর কর্তার আচরণের নিন্দা করছে নেটিজেন। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ আয়কর আধিকারিকরা পৌঁছায় বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ে দপ্তরে। আয়কর হানা এবং তৎসংক্রান্ত সমীক্ষা এখনও চলছে বলে জানা গিয়েছে। ২০১২ সাল থেকে আজ অবধি বিবিসির সমস্ত লেনদেনের তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: আইসিস সমর্থকদের খুঁজে বের করাই লক্ষ্য, দেশের তিন রাজ্যের ৬০ জায়গায় তল্লাশি এনআইএ’র]
প্রসঙ্গত, বিবিসির ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ তথ্যচিত্র মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই ব্রিটেনের জাতীয় সম্প্রচারকারী সংস্থাকে নিয়ে শোরগোল। এক ঘণ্টার তথ্যচিত্রে দু’দশক আগে গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মোদির জমানায় গোধরাকাণ্ড এবং সাম্প্রদায়িক হিংসার কথা তুলে ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যে ওই তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। মামলা গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্টেও। এই আবহে মঙ্গলবার বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের দপ্তরে আয়কর হানায় বিতর্ক বেড়েছে।