সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ংকর বিমান দুর্ঘটনার এই দৃশ্য সিনেমায় দেখা যায়। কিন্তু এই ঘটনা নির্মম বাস্তব। পাঁচ মিনিট আগে যে মানুষগুলো ঝলমলে মন নিয়ে বিমানে চেপে বসেছিল, পাঁচ মিনিট পরে তাদের ঝলসানো দেহ, কাটা মুন্ডু, হাত-পা ছিন্নভিন্ন অবস্থায় মিলল মেঘানি নগরের বিজে মেডিকেল কলেজের ইউজি হস্টেলের মেসের আশপাশের চত্বরে! জানা গিয়েছে, টেক অফের মাত্র পাঁচ মিনিট পরেই মেডিক্য়াল কলেজের হস্টেলের ছাদে আছড়ে পড়ে বিমানটি। মুহূর্তে ভয়ংকর বিস্ফোরণ হয়। এই কারণেই বিমানে থাকা ২৪২ জনেরই মৃত্যু নিশ্চিত করেছে আহমেদাবাদে প্রশাসন। কীভাবে বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরুর কিছু ক্ষণের মধ্যে লোকালয়ে ভেঙে পড়ে বিমানটি, সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, বিমানটি লোকালয়ের উপর দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উড়ে যাচ্ছে। আচমকাই সেটি নিচে নামতে শুরু করে। এরপরেই মেঘানি নগরের বিজে মেডিকেল কলেজের ইউজি হস্টেলের মেসের কাছে ভেঙে পড়ে সেটি। দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে আগুন। কালো ধোয়ায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। একাধিক ভিডিও ও ছবিতে দেখা গিয়েছে মেডিক্যাল কলেজের ছাদের উপরে বিমানের লেজের একাংশ। দুর্ঘটনাস্থল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিমানের ধ্বংসাবশেষ। এমন কিছু সামনে এসেছে, যেখানে বিমানে থাকা যাত্রীদের দেহাংশ দেখা গিয়েছে। কার্যত নরকে পরিণত হয় মেঘানি নগর নামের নিরীহ এলাকাটি।
দ্রুত শুরু হয় উদ্ধারকাজ। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ, দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের অনেকগুলি ইঞ্জিন। উদ্ধারকাজের সুবিধার জন্য দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "আহমেদাবাদের ঘটনায় আমি বিধ্বস্ত, অত্যন্ত ব্যথিত। আমি মন্ত্রী এবং সমস্ত প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।" শোক জ্ঞাপন করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, "অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা রইল। এই কঠিন সময়ে গোটা দেশ তাঁদের পাশে রয়েছেন।"
