সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'পাশবিক' শব্দটির অর্থ পশুর মতো নৃশংসতা। তবে 'মানবিক' মানুষ যদি অসহায় পশুরও অধম হয়ে ওঠে! নারকীয় সে নৃশংসতার প্রকৃত ব্যখ্যায় 'অমানবিক' শব্দটি বড় কম পড়ে যায়। এর যথোপযুক্ত শব্দ অভিধানে মেলাও কঠিন। ভয়াবহ সে নৃশংসতারই এক ভিডিও সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যেখানে এক কালো ভাল্লুকের উপর অকথ্য অত্যাচার চালাচ্ছে মানুষ নামী পশুর দল। বেধড়ক মারের চোটে ভেঙে গিয়েছে ভাল্লুকের মুখের চোয়াল। জীবন্ত অবস্থায় উপড়ে নেওয়া হচ্ছে নখ। অত্যাচারের চোটে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে ভাল্লুকটির। ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে ছত্তিশগড়ের সুকমায়।

গোটা ঘটনায় ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি কালো ভাল্লুককে শক্ত কাঠের সঙ্গে লোহার তারে বেঁধে রাখা হয়েছে। সামনের দুই হাত বাঁধা অবস্থাতেই তার চোয়াল ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে মেরে। সেখান থেকে গলগল করে রক্ত ঝরছে। ওই অবস্থাতেই এক যুবক ভাল্লুকটির দুই কান ধরে ক্যামেরার সামনে অঙ্গিভঙ্গি করছেন একজন। আর এক যুবক ভাল্লুকটির পায়ের নখ উপড়ে নিচ্ছেন। প্রবল যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে বন্য প্রাণীটি। তাতে অবশ্য কোনও হেলদোল নেই নির্যাতনকারীদের। এই নৃশংস নির্যাতনের জেরেই শেষ পর্যন্ত মৃত্যু হয় ভাল্লুকটির।
গোটা ঘটনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই তৎপর হয়েছে বনদপ্তর। ওই ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত শুরু হয়েছে। বনদপ্তরের তরফে অভিযুক্তদের ছবি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের খোঁজ দিতে পারলে ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যে বা যারা এই নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁদের খুঁজে বের করা হবে, এবং বন্যপ্রাণী আইনে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এই ধরনের অপরাধে দুই বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। অপরাধীর যাতে কড়া শাস্তি হয় তা নিশ্চিত করব আমরা।