সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এতদিন শুধুমাত্র কর্মক্ষেত্রের জন্য ছিল বিশাখা গাইডলাইন। এবার থেকে যে কোনও ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানেও এই গাইডলাইন চালু করা হোক। সম্প্রতি এমনই দাবি উঠেছে। আর এই দাবি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, আবেদনে বলা হয়েছে সমস্ত আশ্রম, মাদ্রাসা ও ক্যাথলিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে চালু করা হোক বিশাখা গাইডলাইন। কেরলে সন্ন্যাসিনীকে ধর্ষণ বা দাতি মহারাজের ধর্ষণ মামলার মতো মামলায় যাতে আক্রান্তরা অভিযোগ জানানোর সুযোগ পায়, তাই এই আইন আশ্রম, মাদ্রাসা ও ক্যাথলিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে চালু করার আবেদন করা হয়েছে।
[ অপসারিত সিবিআই ডিরেক্টরের বাড়ির সামনে উঁকিঝুঁকি, গ্রেপ্তার ৪ ]
প্রসঙ্গত, কর্মক্ষেত্রে কোনও মহিলা যৌন হেনস্তার শিকার হলে তিনি বিশাখা গাইডলাইনের আওতায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চাকরি হারানোর ভয়ে অনেক ভুক্তভোগী মহিলারা অভিযোগ জানান না। বিশেষ করে বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত মহিলা কর্মীদের অনেক সময়ই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে মহিলা কর্মীরা স্বেচ্ছায় যৌনতাকে ব্যবহার করেন। কর্মস্থলে পদোন্নতি-সহ বাড়তি সুবিধা পেতে বা গাফিলতি ঢাকতে মহিলারাও যৌনতাকে সিঁড়ি করেন। এক্ষেত্রে সুবিধাদাতা ও সুবিধাভোগী দু’জনকেই শাস্তি পেতে হবে।
কিছুদিন আগেই এই আইন সংশোধন করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, কর্মস্থলে যৌন আবেদন বা হেনস্তা কোনওভাবে কাম্য নয়। এমনকী, যদি চাপ সৃষ্টি করা নাও হয়, তাহলেও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে যৌনতা মেনে নেওয়া যায় না। সংশোধিত আইনে বলা হয়েছে, কোনও কর্মচারীর কাজে খুশি হয়ে ব্যক্তিগতভাবে তাকে বড় কোনও উপহারও দিতে পারবেন না শীর্ষ আধিকারিক। এক্ষেত্রে বড় উপহার অর্থাৎ, সম্পত্তি কিনে দেওয়া, বিদেশ ভ্রমণের মতো বিষয়গুলিকে নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করা হয়েছে৷ দক্ষতার পুরস্কারস্বরূপ কিছু দিতে গেলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট সংস্থার অনুমতি নিতে হবে।
এই একই গাইডলাইন যাতে সমস্ত ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষেত্রেও জারি হয়, তার আবেদনই জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
[ সাংসদদের বেতন বৃদ্ধির প্রতিবাদ, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের রোষে বরুণ গান্ধী ]
The post ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিতেও বিশাখা গাইডলাইন? জনস্বার্থ মামলা সুপ্রিম কোর্টে appeared first on Sangbad Pratidin.