হেমন্ত মৈথিল, লখনউ: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিং-এর জন্মজয়ন্তী তথা 'কিষাণ সম্মান দিবস' উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশের কৃষকদের জন্য একগুচ্ছ উন্নয়ন বার্তা মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের। সোমবার লখনউতে বিধান ভবন প্রাঙ্গণে চৌধুরী চরণ সিং-এর মূর্তিতে মাল্যদান করার পর তিনি কৃষকদের হাতে ট্রাক্টরের চাবি তুলে দেন। অনুষ্ঠানে কৃতি কৃষক ও বিজ্ঞানীদের সম্মানিত করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই কৃষকরা সরকারি এজেন্ডার আয়ত্তে এসেছেন। সয়েল হেলথ কার্ড, ফসল বিমা যোজনা এবং পিএম কিষাণ সম্মান নিধির মতো প্রকল্পগুলি কৃষকদের জীবন বদলে দিয়েছে। ছোট ও প্রান্তিক চাষিদের জন্য কৃষি ঋণ মকুব এবং ফসলের ন্যায্য মূল্য (MSP) নিশ্চিত করেছে সরকার। তিনি বলেন, 'কৃষকই এখন নিজের ভাগ্যের নিয়ন্ত্রক।'
চৌধুরী চরণ সিং-এর স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে লখনউয়ের আটারিতে একটি অত্যাধুনিক 'সিড পার্ক' স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। উন্নত মানের বীজ ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব। এছাড়া বারাবাঁকিতে টিস্যু কালচার ল্যাব তৈরি হচ্ছে, যা আখ, কলা ও আলুর ফলন বাড়াতে সাহায্য করবে।
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, শাহজাহানপুর ও লখিমপুর খেরির কৃষকরা হেক্টর প্রতি ১০০০ কুইন্টাল আখ উৎপাদন করে রেকর্ড গড়েছেন। এই প্রযুক্তি রাজ্যের বাকি কৃষকদের শেখাতে কৃষি দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ক্যানসার ও অন্যান্য মরণব্যাধি রুখতে 'প্রাকৃতিক চাষ' বা ন্যাচারাল ফার্মিং-এর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যের ১৬ লক্ষ ব্যক্তিগত টিউবওয়েল ব্যবহারকারী কৃষকের বিদ্যুৎ বিল মকুব করা হয়েছে। এর জন্য সরকার বছরে ৩৬০০ কোটি টাকা খরচ করছে। সমবায় ঋণের সুদের হার ১১.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ এখন কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে দেশের মডেল হয়ে উঠছে।
