সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সালটা ২০২২। উদ্ধবের শিবসেনায় বিদ্রোহ ঘোষণা করে, নয়া শিবসেনা নিয়ে বিজেপিতে ভিড়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। ক্ষমতা দখল করে বিজেপির 'কৃপায়' হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীও। তবে রাজনীতিতেও ঋতুবদল হয়। রবিবার সেটাই বুঝিয়ে দিলেন অমিত শাহ। মহারাষ্ট্রে এবার বিজেপি ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে শিন্ডের প্রত্যাবর্তনের জল্পনাকে প্রশ্নের মুখে দাড় করিয়ে দিলেন তিনি।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে ২ বছর আগে উদ্ধবের সঙ্গে স্বার্থের সংঘাত শুরু হয়েছিল বিজেপির। সেখানে গেরুয়া শিবিরের তুরুপের তাস হয়ে ওঠেন শিন্ডে। শিবসেনা ভেঙে নয়া শিবসেনা ও শিন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে উদ্ধবের বিরুদ্ধে স্বার্থের লড়াইয়ে জয়ের বিজয় পতাকা উড়িয়েছিল বিজেপি। তবে সময় গড়িয়েছে, পাল্টেছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পটভূমি। এই পরিস্থিতিতে শিন্ডেকে আর অতখানি গুরুত্ব দিতে নারাজ গেরুয়া শিবির। তা স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দিয়ে রবিবার বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, "এখন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তবে ভোটের ফল প্রকাশের পর জোট নেতৃত্ব বসে আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।" শাহের এই মন্তব্য শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
এদিকে যেমন শিন্ডের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে, অন্যদিকে তেমনই শাহের মন্তব্যে জল্পনা শুরু হয়েছে এবার মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার গঠন করলে মুখ্যমন্ত্রী হবেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। গত বৃহস্পতিবার মহারাষ্ট্রের সাঙ্গোলি জেলায় দু’টি সভা করেন অমিত শাহ। সেখানে বলেন, "আমি দেড় মাস ধরে এ রাজ্যে প্রচার করছি। মানুষের মনোভাব যা বুঝছি, তারা চায় ক্ষমতাসীন সরকারই আবার ক্ষমতায় আসুক। দেবেন্দ্র ফড়ণবিস আবার পুনর্নিবাচিত হবেন, জনতার ইঙ্গিত তেমনটাই।" শাহের এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলের দাবি, এনডিএ জোট এবার ক্ষমতায় এলে শিন্ডেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে পুরনো ফড়ণবিসকে।
তবে শুধু মুখ্যমন্ত্রী মুখ নয়, রবিবারের সভা থেকে শিবসেনা ও এনসিপির ভাঙনের কারণও ব্যাখ্যা করেন অমিত শাহ। আক্রমণ শানান পরিবারবার ইস্যুতেও। শাহ বলেন, শিবসেনা ভাঙার কারণ হল উদ্ধব ঠাকরে একনাথ শিন্ডের পরিবর্তে নিজের পুত্রকে জায়গা দিতে চেয়েছিলেন। একইভাবে শরদ পওয়ার অজিত পওয়ারের পরিবর্তে নিজের কন্যাকে জায়গা দিতে চান। এই পরিবারবাদের রাজনীতি ওদের দল ভেঙেছে। আর ওরা আমাদের উপর দোষ চাপায়।