shono
Advertisement

চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে Israel পৌঁছলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান ভাদুরিয়া

সামরিক ক্ষেত্রে আরও কাছাকাছি নয়াদিল্লি ও তেল আভিভ।
Posted: 08:57 AM Aug 04, 2021Updated: 08:57 AM Aug 04, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে সংঘাতের আবহে ইজরায়েল (Israel) পৌঁছলেন ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান আর কে এস ভাদুরিয়া। দুই বন্ধু দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও মজবুত করতে এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে প্রতিরক্ষা মহল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: Taliban-এর হামলায় রক্তাক্ত দেশ, আমেরিকাকে দায়ী করলেন আফগান প্রেসিডেন্ট ঘানি]

সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ইজরায়েলী বায়ুসেনা প্রধান মেজর জেনারেল আমিকাম নরকিনের আমন্ত্রণ রক্ষা করতে বন্দু দেশে গিয়েছেন ভাদুরিয়া। এই বিষয়ে নিজেরদের টুইটার হ্যান্ডেলে ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়েছে, ‘কৌশলগত সহযোগী হিসেবে ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে বহুমুখী সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে পারস্পরিক আদানপ্রদান এই সম্পর্কের অন্যতম স্তম্ভ। এই বৈঠকে দুই দেশের বায়ুসেনার মধ্যে সম্পর্ক আরও গভীর করা নিয়ে আলোচনা হবে।” বিশ্লেষকদের মতে, ভাদুরিয়ার সফর সৌজন্যমূলক হলেও এর তাৎপর্য গভীর। লাদাখ সীমান্তে চিনা আগ্রাসন ও জম্মুতে ড্রোন হামলার পর এই সফর ইঙ্গিত দিচ্ছে যে ভবিষ্যতে সামরিক ক্ষেত্রে নয়াদিল্লি ও তেল আভিভ আরও কাছাকাছি আসতে চলেছে।

উল্লেখ্য, বহু বছর ধরেই অস্ত্র আমদানির ক্ষেত্রে ইজরায়েল ভারতের অন্যতম ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বালাকোট হামলায় ভারতীয় বিমানবাহিনী যে বোমা ব্যবহার করেছিল সেই বোমাও আমদানি করা হয়েছিল ইজরায়েল থেকেই। এছাড়া, গত বছর ১০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করে ইজরায়েল থেকে অত্যাধুনিক দু’টি অ্যাওয়াকস কেনার কথা ঘোষণা করে ভারত। পাকিস্তানের বালাকোটের জাবা পাহাড়ে রাতের অন্ধকারে জইশ জঙ্গিদের ঘাঁটি ধ্বংস করতে সফল অভিযান চালিয়েছিল ভারতের বায়ুসেনা। বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমানকে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে গাইড করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, তাদের নিরাপত্তা দেওয়া এবং শত্রু বিমানবহরের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখার ক্ষেত্রে দু্র্দান্ত কাজ করেছিল অ্যাওয়াকস্। পুরো নাম, ফ্যালকন ‘এয়ারবোর্ন আর্লি ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’ (AWACS)। পাশাপাশি, ইজরায়েলকে আরও ১২টি স্পাইক লঞ্চার এবং ২০০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্রের বরাত দেওয়ার প্রস্তাব গৃহীত হয়। বালাকোটে প্রত্যাঘাতের পর একই পরিমাণ ক্ষেপণাস্ত্র এবং লঞ্চার জরুরি ভিত্তিতে কেনা হয়েছিল। সূত্রের খবর, গতবারের কেনা লঞ্চার এবং ক্ষেপণাস্ত্র পাক সীমান্তের কাছে মজুত করেছিল সেনাবাহিনী। এবার হয়তো চিনা ট্যাংক বাহিনীর বিরুদ্ধে এই ঘাতক হাতিয়ার ব্যবহারের ভাবনা আছে ভারতীয় সেনার।

[আরও পড়ুন: ফের বাড়ছে Covid সংক্রমণ, সমস্ত বাসিন্দার করোনা পরীক্ষার নির্দেশ Wuhan প্রশাসনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement