সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি বিমানবন্দরে (Delhi Airport) এক দম্পতির ব্যাগ পরীক্ষা করে চক্ষু চড়কগাছ হল শুল্ক দপ্তরের কর্মীদের। দেখা গেল ওই দম্পতির সঙ্গে থাকা দু’টি ব্যাগে থরে থরে সাজানো পিস্তল। একটি দুটি নয়, মোট ৪৫টি পিস্তল উদ্ধার করা হয় দু’টি ব্যাগ থেকে। ওই দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাশকতা না অস্ত্রোপাচার, কোন উদ্দেশ্যে ওই পিস্তল আনা হচ্ছিল ভারতে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
বুধবার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের (Indira Gandhi International Airport) ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়। এদিন ভিয়েতনাম (Vietnam) থেকে দিল্লি ফিরেছিলেন অভিযুক্ত দম্পতি। তাঁদের নাম জগজিৎ সিং (Jagjit Singh) ও জসবিন্দর কাউর (Jaswinder Kaur)। শুরুতে পিস্তলগুলি নিয়ে ধন্দে পড়েছিলেন শুক্ল দপ্তরের কর্মীরা। প্রশ্ন উঠেছিল, পিস্তলগুলি কি আসল? যদিও পরে উদ্ধার করা অস্ত্রগুলি বিদেশি পিস্তল বলেই জানা যায়। উদ্ধার হওয়া ৪৫টি পিস্তলের আনুমানিক মূল্য ২২ লক্ষ টাকা।
[আরও পড়ুন: প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারির ‘আমন্ত্রণে’ ভারতে আসা পাক সাংবাদিক আদতে ছিলেন ISI এজেন্ট!]
জিজ্ঞাসাবাদে দম্পতি জানিয়েছেন, তাঁরা ভিয়েতনামের হোচি-মিন-সিটি থেকে প্যারিস হয়ে দিল্লিতে আসেন। জগজিৎ সিং বলেন, তাঁদের ব্যাগ দু’টি দেন তাঁর ভাই মনজিৎ সিং। ব্যাগ ধরিয়েই নাকি সে পালিয়ে যায়। যদিও অভিযুক্ত দম্পতি বহু প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না। ফলে গোটা বিষয়ে গুরত্ব সহকারে তদন্ত নেমেছেন পুলিশ ও শুল্ক দপ্তরের আধিকারিকরা।
এদিকে পিস্তলগুলি আসল না নকল এই নিয়ে যে ধন্দ তৈর হয়েছিল শুরুতে, তা দূর করে দেয় ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড (NSG)। এনএসজি জানিয়েছে, ওই দম্পতির দুটি ট্রলি থেকে উদ্ধার হওয়া সমস্ত পিস্তল আসল। অন্যদিকে দম্পতি জানিয়েছে, এর আগে তুরস্ক থেকে ২৫ পিস্তল এনেছিলেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: যা হচ্ছে আইন মেনেই হচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে বুলডোজার দিয়ে বাড়ি ভাঙায় আপত্তি নেই সুপ্রিম কোর্টের]
গতকাল ফের কচ্ছের মুন্দ্রা বন্দর, যা ভারতের বৃহত্তম বাণিজ্যিক বন্দর, সেখান থেকে উদ্ধার হয় ৭০ কেজি মাদকদ্রব্য। যার আনুমানিক মূল্য ৩৫০ কোটি টাকা বলে মনে করা হচ্ছে। রাজ্যের সন্ত্রাসবাদ বিরোধী বাহিনী এটিএস ওই বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে। দেশের ‘গেটওয়ে অফ ড্রাগস’ হয়ে উঠছে গুজরাট (Gujarat)। এমন অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস (Congress)। উল্লেখ্য, মুন্দ্রা বন্দরের তত্ত্বাবধায়ক আদানি গ্রুপ।