সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমুদ্রে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে ভারত (India)। হামলা চালাতে এলে গুঁড়িয়ে যাবে চিনা নৌবহর। কারণ, এবার সাগরে ভারতের সঙ্গী খোদ ‘সমুদ্রের দেবতা’। শুনতে হেঁয়ালির মতো লাগলেও এটাই সত্যি। সোমবার ভারতের হাতে এসে পৌঁছেছে আরও একটি সাবমেরিন বিধ্বংসী Poseidon-8I যুদ্ধবিমান। সবমিলিয়ে, ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে এখন ১১টি পোসাইডন বিমান রয়েছে।
[আরও পড়ুন: জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত ‘ভূস্বর্গ’, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জম্মুর উদ্দেশে রওনা সেনাপ্রধানের]
গ্রিক পুরাণের মতে এই পোসাইডন হলেন সমুদ্র ও ঝড়ের দেবতা। যোদ্ধা হিসবেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার, তেমনি সমুদ্রের ‘শিকারি’ হিসেবে পরিচিত Poseidon-8I বিমানগুলিরও সমকক্ষ এই মুহূর্তে কেউ নেই। বিমানগুলি ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য বিশেষভাবে তৈরি। মার্কিন সংস্থা বোয়িংয়ের তৈরি এই বিমানগুলি উপকূল এলাকায় নজরদারি, শত্রুপক্ষের জাহাজ এবং সাবমেরিনের অবস্থান জানা এবং প্রয়োজনে আঘাত হানতে এই যুদ্ধবিমানগুলির জুড়ি মেলা ভার। ফলে, ভারত মহাসাগরে পাকিস্তানের তুলনায় সমর কৌশল ও যুদ্ধনীতিতে অনেকটাই এগিয়ে যাবে ভারত। শুধু তাই নয়, চিনা সাবমেরিনের বাহিনীর কাছে ত্রাস হয়ে উঠবে এই বিমান।
জানা গিয়েছে, বিমানগুলিতে রয়েছে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত করতে সক্ষম অত্যাধুনিক হারপুন ব্লক-২ ক্ষেপণাস্ত্র, হালকা ওজনের টর্পেডো ও ডেপথ চার্জ (সাবমেরিন ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হয়)। শক্তিশালী রেডিও সিগনালের মাধ্যমে যা কিনা শত্রুপক্ষের সাবমেরিন এবং জাহাজ, দুই-ই ধ্বংস করতে সক্ষম। বর্তমানে তামিলনাড়ুতে নৌসেনার বিমানঘাঁটি আইএনএস রাজালিতে রয়েছে একটি P-8I squadron। সম্প্রতি লাদাখে চিনের সঙ্গে সঙ্ঘাত চলাকালীন এই বিমানের মাধ্যমেই নজরদারি চালানো হয়। ২০১৭ সালে ডোকালামে দুই দেশের বাহিনী যখন মুখোমুখি অবস্থান করছিল, সেইসময়ও নামানো হয় এই বিমান।
প্রসঙ্গত, কোয়াড গোষ্ঠীর সদস্য দেশগুলিও পোসাইডন যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে। ভারত, আমেরিকা, জাপান এবং অস্ট্রেলিয়া মিলে তৈরি হয়েছে এই চতুর্দেশীয় অক্ষ বা কোয়াড। ফলে সদস্য দেশগুলির মধ্যে সামরিক বোঝাপড়া ও সহযোগিতাও রয়েছে। সবমিলিয়ে, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে ভারত।