সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুনীতা উইলিয়ামস, কল্পনা চাওলার পরে সিরিষা বন্দলা (Sirisha Bandla)। ভারতীয় বংশোদ্ভূত তৃতীয় মহিলা হিসাবে রবিবার মহাকাশে উড়ে গেলেন অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুরের এই তরুণী। ভার্জিন গ্যালাকটিকের (Virgin Galactic) প্রথম যাত্রীবাহী মহাকাশযানে সওয়ার হয়ে গন্তব্যে যাত্রা করলেন সিরিষা। সঙ্গে ছিলেন আরও পাঁচ জন। আর সেই তালিকায় উল্লেখযোগ্য নাম ব্রিটিশ ধনকুবের, বিজনেস ম্যাগনেট, বছর সত্তরের রিচার্ড ব্র্যানসন (Richard Branson)। সিরিষার বাকি সঙ্গী বেথ মজেস, কলিন বেনেট, ডেভ ম্যাকেই এবং মাইকেল মাসুক্কি। গোটা অভিযানের সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বলে আগেই ভার্জিন গ্যালাকটিক সংস্থার টুইটার অ্যাকাউন্টে জানানো হয়েছিল। সেইমতো এদিন ভারতীয় সময় সন্ধে সাড়ে ছ’টা থেকে সম্প্রচার শুরু হয়। সংস্থার ওয়েবসাইটে, ফেসবুক-টুইটার চ্যানেলে তা দেখানো হয়।
এই অভিযান উল্লেখযোগ্য, কারণ, ইতিপূর্বে আর কোনও মহাকাশযানের অভিযান আকাশ থেকে হয়নি। যেসব অভিযান হয়েছে স্থলভূমি বা সাগরের উপরিপৃষ্ঠ থেকে। রবিবার নিউ মেক্সিকোর দক্ষিণ প্রান্তের মরুভূমি থেকে উড়ে যায় ব্র্যানসনের সংস্থা, ভার্জিন গ্যালাকটিকের বিমান ‘ইউনিটি-২২’। তার মধ্যেই ছিল মহাকাশযান, নাম ‘ইভ’। আবার ‘ইভ’-এর ভিতরে ছিল রকেটের ইঞ্জিন। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫০,০০০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছে, ‘ইউনিটি-২২’ সিরিষা-সহ ছয় আরোহীকে আকাশের প্রান্তসীমায় এসে ছুঁড়ে দেয় ‘ইভ’-এর সঙ্গেই। তখনই চালু হয়ে যায় ইঞ্জিন। সেই ইঞ্জিন সকলকে বহন করে নিয়ে যায় মহাকাশে।
[আরও পড়ুন: চাঁদের কক্ষপথে ‘বাড়ি’ নির্মাণ! মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল NASA]
চার মিনিট ভরশূন্য অবস্থায় মহাকাশেই (Space) ভেসে বেড়ান সিরিষারা। দেড় ঘণ্টার অভিযানে নজির গড়ে রবিবারই ফিরে আসেন সিরিষারা। অভিযান শেষে গোটা দলের প্রশংসা করেন ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন। তাঁর মতে, এটা জীবনের সেরা মুহূর্ত। তিনি আশাবাদী, ভবিষ্যতে ‘স্পেস টুরিজম’ সফল হবেই। প্রসঙ্গত, বাবা-মায়ের সঙ্গে আমেরিকায় আসার পর সিরিসা অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর হন সিরিষা বন্দলা। তারপর যোগ দেন ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্যালাকটিক সংস্থায়। বর্তমানে তিনি এই সংস্থার গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স এবং রিসার্চ অপারেশনসের ভাইস প্রেসিডেন্ট। মহাকাশ ভ্রমণের প্রথম অভিজ্ঞতা থেকে সিরিষা বলছেন, ”মহাশূন্য থেকে পৃথিবী দেখতে আরও সুন্দর। আমি ভাবতেই পারিনি। এই অভিজ্ঞতা জীবন বদলে দেওয়ার মতো। অসাধারণ!”