সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত অধিনায়কই টিমকে টেনে তুললেন বিপদ থেকে। ভারত (India) অধিনায়কই আবার টিমকে বিপদের মুখে ঠেলে দিলেন!
অস্ট্রেলিয়ার (Australia) বিরুদ্ধে দু’টো অবতারেই পাওয়া গেল ভারতের মহিলা টিমের অধিনায়ক হরমনপ্রীত কউরকে (Harmanpreet Kaur)। প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্যয় সামলে কমনওয়েলথ ফাইনালে টিমকে টেনে তুলেছিলেন হরমনপ্রীতই। জেমিমা রডরিগেজকে সঙ্গী করে। নিজে দুর্ধর্ষ হাফসেঞ্চুরি করে। এবং একটু একটু করে যখন অস্ট্রেলিয়া বধের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হচ্ছে, এজবাস্টন জুড়ে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে ক্রিকেটে ভারতের সোনা জয়ের সৌরভ, ঠিক তখনই একটা ল্যাপ সুইপ এবং ছন্দপতন। রবিবাসরীয় ফাইনালে ৬৫ রানের ইনিংসে যে শটটা বেশ কয়েকবার সফল ভাবে মারলেন হরমন। কিন্তু মোক্ষম সময়ে ভারত অধিনায়কের মিসটাইমড ল্যাপ সুইপ ব্যাট ছুঁয়ে হেলমেটে লেগে অস্ট্রেলীয় কিপারের হাতে চলে গেল।
[আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ গেমসের মাঝপথে আচমকাই নিখোঁজ শ্রীলঙ্কার ১০ অ্যাথলিট!]
সোনার স্বপ্নকে ছাইগাদায় পাঠিয়ে। অতীতে বেশ কয়েক বারই বিশ্বমঞ্চে জেতা ফাইনাল অল্পের জন্য হেরে ফিরেছে ভারতীয় মহিলা টিম। ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ফাইনাল যেমন। এ বারও তাই হল। ভারত হারল মাত্র ৯ রানে। এ দিন টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেগ ল্যানিংয়ের অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু শুরুতেই তারা হারায় অ্যালিসা হিলিকে। টিমকে টানেন বেথ মুনি। ৬১ করেন। অধিনায়ক ল্যানিং ৩৬ রান করে যান।
গোটা কমনওয়েলথ জুড়ে দারুণ বল করে যাওয়া ভারতের রেণুকা ঠাকুর এ দিনও দু’উইকেট নেন।
২০ ওভারে ১৬১-৮ তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। যে রানটা মাথা ঠাণ্ডা রেখে তাড়া করলে উঠে যায়। কিন্তু ২২ রানের মধ্যে দু’উইকেট হারায় ভারত। হারায় স্মৃতি মান্ধানা এবং শেফালি ভার্মাকে। তার পরই টিমের হাল ধরেন হরমনপ্রীত এবং জেমিমা। জেমিমা ৩৩ করেন। আর হরমনপ্রীত ৪৩ বলে ৬৫। কিন্তু টিমের রান যখন ১১৮ রান, তখনই বিপর্যয় ঘটে। পরপর দু’বলে আউট হয়ে যান জেমিমা এবং হরমনপ্রীত। কিছুক্ষণ পর পূজা বস্ত্রাকরও। পরের দিকে দীপ্তি শর্মা একটা মরিয়া চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: অস্ট্রেলিয়া ২০ ওভারে ১৬১-৮ (মুনি ৬১, ল্যানিং ৩৬, রেণুকা ২-২৫, স্নেহ ২-৩৮) ভারত ১৯.৩ ওভারে ১৫২ (হরমনপ্রীত ৬৫, জেমিমা ৩৩, গার্ডনার ৩-১৬)।