সুকুমার সরকার, ঢাকা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন বিশ্বজুড়ে। ফলে বিভিন্ন দেশে আটকে পড়েছেন নাগরিকরা। ভারত ও বাংলাদেশের নাগরিকরাও একইভাবে আটকে পড়েছিলেন দু’দেশেই। এতদিন কলকাতা, চেন্নাই, ভেলোর, দিল্লি-সহ বিভিন্ন স্থান থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ধাপে ধাপে ফিরিয়ে আনা হচ্ছিল। এবার বাংলাদেশে আটকা পড়া ভারতীয় নাগরিকদের স্বদেশে ফেরানোর কাজ শুরু হল।
শুক্রবার বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে বিদেশে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনতে ‘বন্দে ভারত মিশন’ নামে বৃহত্তম অপারেশন শুরু করেছে। এই ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যাঁরা চাকরি, পড়াশোনা বা ইন্টার্নশিপ করেন। এছাড়া পর্যটন, ব্যবসা-সহ বিভিন্ন কারণে লকডাউনের আগে বিভিন্ন দেশে গিয়েছিলেন। এছাড়াও রয়েছেন অন্যান্য ভারতীয় নাগরিক, যাঁদের চিকিৎসা সংক্রান্ত জরুরি পরিস্থিতি বা পরিবারের সদস্যের মৃত্যুজনিত কারণে ভারত সফর অনিবার্য ছিল।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে করোনার মৃত্যুমিছিল, চব্বিশ ঘণ্টায় সাংবাদিক-সহ মৃত ১৪]
বাংলাদেশে আটকে পড়া সেসব ভারতীয়দের শুক্রবার থেকে ধাপে ধাপে ফেরানোর নেওয়া শুরু হয়। প্রথম ধাপে এয়ার ইন্ডিয়ার সাতটি বিমান ভারতীয় নাগরিকদের শ্রীনগর (৮, ১২ ও ১৩ মে), দিল্লি (৯ ও ১১ মে), মুম্বই (১০ মে) এবং চেন্নাই (১৪ মে) নিয়ে যাবে। প্রতিটি বিমানে প্রায় ১৭০ জন যাত্রী বহন করা হবে। প্রথম বিমানটি ঢাকার বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ থেকে আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের শ্রীনগরে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশন এই শিক্ষার্থীদের সাথে নিরবচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রক্ষা করে এবং এই কঠিন পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ উদারতার সঙ্গে পাশে থাকা মেডিক্যাল কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় খাদ্য, বাসস্থান, অর্থ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় সমাধান করেছে।
[আরও পড়ুন: করোনা আবহেও বাংলাদেশে মসজিদ খোলার অনুমতি দিল প্রশাসন]
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গুলি দাশ শুক্রবার বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া ভারতীয় নাগরিকদের প্রথম দলটিকে বিদায় জানান এবং তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে দেশে ফেরার শুভেচ্ছা জানিয়ে হাই কমিশনার বিদেশে ভারতীয় নাগরিকদের কল্যাণে ভারত সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা ফের উল্লেখ করেন। তরুণ শিক্ষার্থীরা ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে পারায় হাই কমিশনার সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ভারতে পৌঁছানোর পর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা তাঁদের প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার জন্য হাই কমিশনকে ধন্যবাদ জানান। ‘বন্দে ভারত মিশন’ বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, বিদেশ মন্ত্রক এবং রাজ্য সরকারের সমন্বয়ে পরিচালিত একটি বৃহত্তর কার্যক্রম।
The post ‘বন্দে ভারত মিশন’-এ উদ্ধারকাজ, সাতটি বিমানে ফিরছেন বাংলাদেশে আটকে থাকা ভারতীয়রা appeared first on Sangbad Pratidin.