সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সীমান্তে চোখ রাঙাচ্ছে দুই প্রতিবেশী। এমন আবহে নিজেদের সামরিক বহর ক্রমেই সুসজ্জিত করছে ভারত। দিন কয়েক আগেই ব্রাহ্মোসের এয়ার লঞ্চড ভার্সনের সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছিল ডিআরডিও (DRDO)। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল কুইক রিঅ্যাকশন সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেমের (Quick Reaction Surface to Air Missile system)।
একদিকে লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে আলোচনা চলছে। তারমধ্যেও চিনের তরফে উসকানি অব্যাহত। এমন পরিস্থিতিতে কাশ্মীর সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করছে পাকিস্তান। কার্যত ছায়াযুদ্ধ চালাচ্ছে ইমরান খানের দেশ। এমন আবহে ভারতের এহেন নিত্যনতুন সমরাস্ত্রে শান, শত্রুদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করবে তা বলাইবাহুল্য।
[আরও পড়ুন : ‘লড়তে এলে যোগ্য জবাব দেব’, জওয়ানদের দিওয়ালির শুভেচ্ছা জানিয়ে চিনকে হুমকি মোদির]
শত্রুদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে শুক্রবার বিকেল ৩ টে ৫০ মিনিট নাগাদ ওড়িশার বালাসোরে (Balasore) এই মিসাইল সিস্টেম উৎক্ষেপণ করে ডিআরডিও। যা ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে পাইলটহীন টার্গেট ভেহিকেলকে গুড়িয়ে দেয়। এ প্রসঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি একক পর্যায়ের সলিড প্রোপেলান্ট রকেট মোটরের মাধ্যমে চালানো যায়। আকাশ পথে ৩০ কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে আঘাত করতে সক্ষম এই মিসাইল। লঞ্চারটি তৈরির মূল উদ্দেশ্য, মাটি থেকে প্রতিপক্ষের যুদ্ধবিমানে আঘাত করা। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ভারত প্রথম কুইক অ্যাকশন মিসাইল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছিল।
কী কী বিশেষত্ব রয়েছে এই মিসাইল সিস্টেমটিতে?
- সিস্টেমটি ৬টি ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম।
- একসঙ্গে ছ’টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে।
- রাডার এতটাই উন্নত যে ১০০টি টার্গেটে নজর রাখতে পারে।
- মোবাইল টু ভেহিকল থেকে নিক্ষেপ করা যায় এই সিস্টেম।
- এটি দেশীয় সমস্ত সাবসিস্টেমে ব্যবহার করা হয়।
- দিন-রাত কিংবা যে কোনও আবহাওয়ায় কাজ করতে সক্ষম এই সিস্টেম।
[আরও পড়ুন : ভারতের পালটা মারে সীমান্তের ওপারে বাড়ছে হতাহত, এখনও পর্যন্ত ১১ পাক সেনার মৃত্যু!]