সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে, মরা হাতির দাম লাখ টাকা। এই হাতির মূল্য তারচেয়েও বেশি। সে কারণেই তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা দেশ। ৮৯ বছর বয়সে সোমবার সকালে প্রয়াত হয়েছে বিজুলি প্রসাদ। ভারতের সবচেয়ে বেশি বয়সি এশিয়াটিক হাতি (Asiatic Elephant)। গোটা বিশ্বের পরিবেশ তথা বন্যপ্রাণ সচেতন মানুষ জানতেন বিজুলির গুরুত্ব। সকলের মন খারাপ।
৮৬ বছর আগের কথা। হাতি কিনেছিল উইলিয়ামসন মাগর টি কোম্পানি। ব্রিটিশ সাহেব অলিভার হস্তিশাবকটির নাম রাখেন বিজুলি প্রসাদ। একসময় হাতিটি কোম্পানির আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। অলিভার সাহবে বিজুলির দেখভালের জন্য কর্মচারীও নিয়োগ করেছিলেন। শাবক থেকে হাতি হয়ে ওঠা বিজুলি তখন থাকত বড়গাঁও চা বাগানে। এর পর তার ঠিকানা হয় বেহালি চা-বাগান। সোনিতপুর জেলার সেই বাগানেই ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় মৃত্যু হল ভারতের প্রবীণতম হাতির।
[আরও পড়ুন: আর্থিক সহায়তা প্রকল্পে বদলের প্রয়োজন, মণিপুর নিয়ে রিপোর্ট পেশ সুপ্রিম কোর্টে]
পশুচিকিৎসক ডাঃ কুশল কনওয়ার শর্মার তত্ত্বাবধানে ছিল হাতিটি। তিনি বলেন, “আমার ধারণা বিজুলি প্রসাদ ভারতের সবচেয়ে বেশি বয়সি পোষা হাতি।” তিনি জানান, সাধারণত বুনো হাতি ৬২-৬৫ বছর অবধি বাঁচে। পোষা হাতির আয়ু হতে পারে ৮০ বছর অবধি। সেই হিসেবেও বিজুলি দীর্ঘায়ু পেয়েছে। ডাঃ শর্মা বলেন, “৮-১০ বছর আগে দাঁত পড়ে গিয়েছিল প্রবীণ হাতিটির। বয়সের কারণে সবকিছু খেতে পারত না। আমার পরামর্শে গত কয়েক বছরে চাল ও সয়াবিন সেদ্ধ দেওয়া হত। এই কারণেই দীর্ঘায়ু হয়েছে সে।”