অর্ণব আইচ: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ‘ট্রেঞ্চ ওয়ার’ থেকে নাৎসি জার্মানির ‘ব্লিৎসক্রেগ’। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পালটেছে রণকৌশল। যত সময় এগিয়েছে তত প্রযুক্তির হাত ধরে বদলে গিয়েছে যুদ্ধের কলাকৌশল। বেড়েছে সাইবার যুদ্ধের আশঙ্কাও। এই পরিস্থিতিতে ইস্টার্ন আর্মি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাণাপ্রতাপ কলিতা (Rana Pratap Kalita) জানিয়ে দিলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (Artificial Intelligence) উপরে জোর দিতে হবে সেনাকে। তাঁর কথায়, ”যুদ্ধের সময় কোন দেশ সাহায্য করবে তা নিয়ে ভেবে লাভ নেই। বরং নিজেদের আত্মনির্ভর হতে হবে। আর সেই কারণেই দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা র প্রয়োজন।”
কলকাতার এক বণিকসভায় মঙ্গলবার বক্তব্য রাখেন সেনা কর্তা। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন, আগামী ৬ থেকে ৯ জুলাই কলকাতায় মিনি ডিফেন্স এক্সপো হবে। সেখানে বিভিন্ন সংস্থা সুযোগ পাবে নিজেদের তৈরি সামরিক সরঞ্জাম প্রদর্শিত করার।
[আরও পড়ুন: জমি বরাদ্দ করলেন মুখ্যমন্ত্রী, রাজারহাটে শুরু জ্যোতি বসু স্মারক তৈরির কাজ]
উল্লেখ্য, কেবলই গোলা-বারুদ নয়, আজকাল কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগও হয়ে উঠঠে যুদ্ধাস্ত্র। যে কোনও দেশের ব্যাংকিং পরিষেবা, যান চলাচল, এমনকি মিসাইল সিস্টেম তছনছ করে দিতে অহরহ চেষ্টা চালাচ্ছে হ্যাকাররা। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের শুরুতেও শোনা গিয়েছিল, কিয়েভের ইন্টারনেট পরিষেবা ধ্বংস করছে রুশ সেনা।
বছরখানেক আগে শোনা গিয়েছিল, ‘ভারচুয়াল যুদ্ধে’ই নামবার ছক কষছে লস্কর-ই-তইবা (Lashkar-e-Taiba)। এখন সাইবার নাশকতার দিকে বেশি নজর পাকিস্তানের এই জঙ্গি সংগঠনের। এই পরিস্থিতিতে লেফটেন্যান্ট রাণাপ্রতাপের মুখে শোনা গেল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কথা।
[আরও পড়ুন: পার্থ-পরেশ-অনুব্রতর সম্পত্তি কত? খতিয়ান চেয়ে আয়কর দপ্তরকে চিঠি পাঠাল সিবিআই]
সদ্য ইস্টার্ন কমান্ডের দায়িত্ব পেয়েছেন কলিতা। গত সপ্তাহে গুয়াহাটিতে তিনি বলেন, চিন যেভাবে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে নির্মাণকাজ শুরু করেছে তা আশঙ্কাজনক। তবে ভারতও সীমান্ত এলাকা জুড়ে পরিকাঠামো উন্নত করছে। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আফস্পার পরিধি কমিয়ে আনার ফলে সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়ানো হচ্ছে। বহিরাগত শত্রুদের রুখতে ভারতীয় সেনাও বলে জানিয়ে দেন সেন কর্তা।