সুকুমার সরকার, ঢাকা: সমুদ্রে ভাসমান ১২০ জন রোহিঙ্গাকে (Rohingya) অবশেষে আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে ইন্দোনেশিয়া। টানা কয়েকদিন সমুদ্রে ভেসে ছিল রোহিঙ্গারা। এর পরে আন্তর্জাতিক নানা সংস্থার ক্রমাগত অনুরোধের পর তাদের তীরে নামার অনুমতি দিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি। এই খবর জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। এতে খানিকটা স্বস্তি পেয়েছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। ক্রমবর্ধমান রোহিঙ্গা শরণার্থীদের চাপে নাস্তানাবুদ হাসিনা প্রশাসন। এই অবস্থায় ইন্দোনেশিয়ার সাহায্য পাওয়ায় চাপ কিছুটা কমল বলে মনে করা হচ্ছে।
সমুদ্রে ভেসে থাকা ১২০ জন রোহিঙ্গাকে তীরে নামার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি ‘মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের জয়’ হিসেবে দেখছে রাষ্ট্রসংঘের (UN) শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর (UNHCR)। গত রবিবার ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) পশ্চিমাঞ্চলীয় সুমাত্রা দ্বীপের বিরুয়েন উপকূলে যাত্রীবাহী একটি নৌকা ভাসতে দেখেন স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। এর আরোহীদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। জানা যায়, এরা সকলে রোহিঙ্গা। কাঠের নৌকাটিতে দুই জায়গায় ছিদ্র হয়ে গিয়েছিল। প্রচুর জল ঢুকছিল। ফলে সেটি দ্রুত ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছিল।
[আরও পড়ুন: Omicron In Bangladesh: ওমিক্রনের থাবায় বাংলাদেশে ফের বন্ধ হতে পারে স্কুল? হাসিনার মন্তব্যে জল্পনা]
তবে এই বিপর্যয়ের পরও অসহায় রোহিঙ্গা নারী, শিশুদের তীরে নামার অনুমতি দিচ্ছিল না ইন্দোনেশিয়ার সরকার। বরং আশ্রয়প্রার্থীদের আবারও ফিরে যাওয়ার চাপ দেওয়া হচ্ছে। অবশ্য আচেহ (Ache) প্রদেশের এক স্থানীয় আধিকারিক জানান, তারা নৌকায় থাকা রোহিঙ্গাদের কাছে খাবার, ওষুধ ও জল পাঠিয়েছেন। কিন্তু তাদের স্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়া হবে না। যদিও ইন্দোনেশিয়া রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী (Migrants) সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশ নয়। তবে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অবশেষে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করেছে তারা। ইন্দোনেশিয়ার নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের আধিকারিক আর্মড বিজয়া এক বিবৃতিতে বলেছেন, ”মানবতার খাতিরে আজ ইন্দোনেশীয় সরকার বিরুয়েন উপকূলে ভাসমান রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে রাজি হয়েছে। নৌকায় থাকা শরণার্থীদের জরুরি অবস্থার কথা বিবেচনা এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”