সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্যরকমে নতুন হয় মন। সাধে কি পয়সা খসিয়ে কষ্ট করে পাহাড়ে ওঠে মানুষ! ভেবে দেখলে সমস্ত খেলার জন্ম সভ্যতার একঘেয়মি থেকে উদ্ধার পেতে। আর খেলা যত উদ্ভট, মন সেরে ওঠে তত। যেমন, চিল চিৎকারের প্রতিযোগিতা, কিংবা বউ কাঁধে করে স্বামীর দৌড়! ফুল ও ফল ছোড়ার প্রতিযোগিতা ইত্যাদি৷ প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে তেমনই এক আজব প্রতিযোগিতা আসর বসে ইংল্যান্ডে। যার নাম “গার্নিং চাম্পিয়ানশিপ” (Gurning Championship)৷ ব্যাপারটা কী?
তাহলে বলতে হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম ইংল্যান্ডের কুম্ব্রিয়া প্রদেশের “এগ্রিমন্ট ক্র্যাব ফেয়ার”-এর কথা৷ যা হয় প্রতিবছর বর্ষার মরশুমে। এই উৎসবেরই অন্যতম অংশ “গার্নিং চাম্পিয়ানশিপ”৷ সোজা বাংলায় মুখ বিকৃতির প্রতিযোগিতা। অদ্ভুত খেলা বটে, তবে আলটপকা নয় মোটেই। ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিযোগিতার বয়স প্রায় ৭০০ বছর৷ তবে এগ্রিমন্ট ক্র্যাব ফেয়ার বড় উৎসব। যার একাধিক অংশ রয়েছে৷ যেমন, এই উৎসবে স্থানীয় মরসুমি ফল ক্র্যাব আপেল নিয়ে একটা কাণ্ড হয়৷ কেমন সেই কাণ্ড?
[আরও পড়ুন: বিপদে পড়লে সত্যিই বাঁচাবে পুলিশ? নিশ্চিত হতে এমার্জেন্সি নম্বর ডায়াল মদ্যপের, তারপর…]
রাস্তায় রাস্তায় বের হয় শোভাযাত্রা৷ পথের দুইপাশে ভিড় করেন উৎসাহী মানুষ৷ তাঁদের দিকে একটি চলন্ত ট্রাক থেকে এগ্রিমন্ট ক্র্যাব ফেয়ারের উদ্যোক্তারা আপেল ছুড়ে মারেন৷ সেই আপেল কুড়িয়ে খাওয়াই উৎসবের রীতি। এছাড়াও হয় শাকসবজির শো, ঘোড় দৌড়, তেল মাখানো লোহার পোলে চড়ার প্রতিযোগিতা, এক ধরনের কুস্তি প্রতিযোগিতাও হয়ে থাকে৷ তবে এগ্রিমন্ট ক্র্যাব ফেয়ারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ গার্নিং চাম্পিয়ানশিপ বা মুখ বিকৃতির প্রতিযোগিতা।
[আরও পড়ুন: মোদির সুরক্ষার দোহাই দিয়ে উড়ান বাতিল, ‘আমি উগ্রপন্থী নই’, ক্ষোভপ্রকাশ চান্নির]
পুরুষ, মহিলা ও শিশুরা আলাদা আলাদা বিভাগে নামেন গার্নিং চাম্পিয়ানশিপে। খেলার নিয়ম অনুযায়ী গলায় ‘ব্রাফিন’ বা হর্স কলার পরে মুখ বিকৃত করাই নিয়ম৷ যে যত বেশি বিকৃত করতে পারবে, সে তত বেশি পয়েন্ট পাবে৷ যদি কেউ তার মুখটিকে কোনও পশুর মতো করে তুলতে পারে, তবে পয়েন্ট পাবে সবচেয়ে বেশি। জয়ীর জন্য থাকে দামী পুরস্কার৷ গার্নিং চাম্পিয়ানশিপের ট্রফি তো আছেই৷ তবে আসল পুরস্কার কিন্তু অন্য। তা হয়তো একঘেয়েমির শেষ, অন্যরকম আনন্দের পুরস্কার!