সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্তার প্রতিবাদে ‘মিট টু’ আন্দোলনে উত্তাল গোটা দেশ। রাজনীতিবিদ, লেখক, অভিনেতা, কে নেই অভিযুক্তের তালিকায়! আর এবার শহরের একটি কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানে শ্লীলতাহানির শিকার হলেন মহিলা গবেষক। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বেলেঘাটার ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এটারিক ডিজিজে।
[ হোয়াটস্ অ্যাপ কলে ২০ কোটির তোলাবাজি, চলছে অভিযুক্তের খোঁজ]
বেলেঘাটার ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এটারিক ডিজিজে কলেরা-সহ বিভিন্ন জলবাহিত রোগ নিয়ে গবেষণা করা হয়। সংস্থাটি কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন অভিযোগকারী মহিলা। বলা ভাল গবেষণা করছেন তিনি। ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এটারিক ডিজিজের সিনিয়র রিসার্চার ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগ, গত ২৩ অক্টোবর যখন তিনি ডিউটি করছিলেন, তখন এক ব্যক্তি আমচকাই হাত ধরে টানাটানি করতে শুরু করে। প্রতিবাদ করলে কটুক্তি করে সে। ঘটনার পর বেলেঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। নির্যাতিতার দাবি, যে ব্যক্তি তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছে, সে ওই কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানের কেউ নয়। কোনওভাবে সে ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এটারিক ডিজিজ চত্বরে ঢুকে পড়েছিল।
এদিকে এই ঘটনায় খোদ কেন্দ্রীয় সরকারি মহিলা কর্মী ও গবেষকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কর্মীদের একাংশের বক্তব্য, খাতায় কলমে ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এটারিক ডিজিজ নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত জোরদার। ঢোকা তো দূরের ব্যাপার, ওই প্রতিষ্ঠানে বিনা অনুমতিতে ছবি পর্যন্ত তোলা যায় না। তাহলে একজন বহিরাগত ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান চত্বরে ঢুকে কীভাবে মহিলা গবেষকের শ্লীলতাহানির করার সাহস পেল? যদিও এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অফ কলেরা অ্যান্ড এটারিক ডিজিজ কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
[ স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়াতে ছাত্রছাত্রীদের সুস্থ যৌনতার পাঠ দেবে পর্ষদ]
The post বেলেঘাটায় কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠানে গবেষকের শ্লীলতাহানি, প্রশ্নে নিরাপত্তা appeared first on Sangbad Pratidin.