সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর ঘটনায় তদন্ত করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলো। সূত্রের খবর, বোমাতঙ্ক ছড়াতে যে ভুয়ো ফোন ব্যবহার হচ্ছে সেগুলোর নেপথ্যে রয়েছে ভিপিএন। তাই ভিপিএন সার্ভিস প্রদানকারী সংস্থাগুলোকেও তদন্তের আওতায় আনা হবে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ভুয়ো ফোনের নেপথ্যে যে আইপি অ্যাড্রেসগুলো মিলেছে সেগুলো লন্ডন এবং জার্মানির। সেদেশের ভিপিএন ব্যবহার করা হয়েছে বলে ভুয়ো ফোনের লোকেশান চিহ্নিত করা কঠিন হচ্ছে।
বিমানে বোমাতঙ্ক কার্যত নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলতি সপ্তাহে এই নিয়ে দেশের নানা প্রান্তে ২০টি উড়ানে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছে। বারবার ভোগান্তির মধ্যে পড়ছেন আমজনতা। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, schizobomber777 নামে একটি এক্স হ্যান্ডেল থেকে বিমানে বোমা রাখা আছে বলে একাধিক পোস্ট করা হয়েছে। দিনকয়েক আগে এই হ্যান্ডেলটি তৈরি হয়। বোমাতঙ্ক ছড়ানোর পর থেকে হ্যান্ডেলটি সাসপেন্ড করা হয়েছে।
তদন্তকারীদের মতে, বোমাতঙ্ক ছড়ানোর উড়ো ফোন যারা করছে, তারা ভিপিএন ব্যবহার করছে। তার ফলে ওই ফোনগুলোকে ট্র্যাক করা যাচ্ছে না। তাই তদন্তকারীরা বুঝতে পারছেন না কোন জায়গা থেকে উড়ো ফোন আসছে। আইপি অ্যাড্রেসগুলো লন্ডন বা জার্মানির মতো লোকেশন দেখাচ্ছে। তাই ভিপিএন সার্ভিস প্রোভাইডারদেরও তদন্তের আওতায় আনা হতে পারে।
উল্লেখ্য, বিমানে বোমাতঙ্কের সমাধান খুঁজতে বৈঠকে বসেছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। নিত্যদিনের এই যাত্রী ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে বেশ কয়েকটি নতুন নির্দেশিকা আনতে চলেছে কেন্দ্র। তার মধ্যে অন্যতম হল স্কাই মার্শালের সংখ্যা বাড়ানো। এছাড়াও ভুয়ো খবর ছড়ানো ব্যক্তিদের বিমানে চড়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। সঙ্গে চলবে তদন্তও।