চেন্নাই সুপার কিংস: ২৩৫/৪ (কনওয়ে-৫৬, রাহানে-৭১, দুবে-৫০ কুলবন্ত-৪৪/২)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১৮৬/৮(রয়-৬১, রিঙ্কু-৫৩*)
৪৯ রানে জয়ী চেন্নাই সুপার কিংস
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৩ আইপিএলে পুণে বনাম চেন্নাইয়ের ম্যাচে দ্বিধাবিভক্ত হয়েছিল ইডেন গার্ডেন্স। সৌরভ বনাম ধোনির লড়াইয়ে দুই তারকার জন্য দু’ভাগে ভাগ হয়ে গলা ফাটিয়েছিল তিলোত্তমা। কিন্তু দশ বছর পর যেন গোটা ইডেন গার্ডেন্সের একছত্র মালিক হয়ে গেলেন ধোনি একাই। তাঁর ক্যারিজমাতেই এক নিমেষে ইডেন হয়ে উঠল চিপক। সেই ইডেনকে নিরাশও হতে হয়নি। দর্শকদের মন এবং ম্যাচ- দুই-ই জিতে নিলেন ক্যাপ্টেন কুল। হোম ফেভারিটদের পরাস্ত হতে দেখেও হাসতে হাসতে মাঠ ছাড়লেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কারণ দিনের শেষে জয় হয়েছে ভালবাসার, আবেগের আর সর্বোচ্চরি স্পোর্টসম্যান স্পিরিটের।
প্রায় তিন বছর পর ইডেনে পা রেখেই রাজত্ব করলেন ধোনি (MS Dhoni)। বলা ভাল ধোনির চেন্নাই। কনওয়ে, রাহানে, শিবম দুবেদের দুর্দান্ত ইনিংসে কেকেআরের সামনে তৈরি হল রানের পাহাড়। যে পাহাড়ের শিখর ছোঁয়া ছিল কার্যত অসম্ভব। কারণ উলটো দিকে যে বোলারই থাকুন না কেন, নেপথ্য মগজাস্ত্রের নাম ধোনি। তাই ঘরের মাঠেও যেন একেবারে ‘এক ঘরে’ হয়ে গেলেন নীতীশ রানারা।
[আরও পড়ুন: শাশার পর উদয়, কুনো জাতীয় উদ্যানে মৃত্যু দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা চিতার]
বাংলাদেশি ব্যাটার লিটন দাসকে নিয়ে এক ম্যাচেই মোহভঙ্গ হয়েছে কেকেআরের। তাই এদিন তাঁকে আর প্রথম একাদশে রাখা হয়নি। তবে ওপেন করতে নেমে ব্যর্থ সুনীল নারিন (০)। মাত্র ১ রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরেক ওপেনার জগদীশন। ইনিংসের ৭০ রানের মধ্যে ভেঙ্কটেশ আইয়ার (২০) ও রানাকে (২৭) ফেরান চেন্নাই বোলাররা। আরও একবার ম্যাচের হাল ধরেন সেই রিঙ্কু সিং। তবে শ্রেয়স আইয়ারের পরিবর্ত জেসন রয় এদিন নিজের সেরাটা উজার করে দিয়েছিলেন। চাপের মুখে ২৬ বলে ৬১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। তবে তাঁদের লড়াই জয়ের জন্য তা যথেষ্ট ছিল না, এই যা। কিন্তু বারবার ব্যর্থ একসময় নাইটদের একাহাতে জয় এনে দেওয়া তারকা আন্দ্রে রাসেল। আর সেটাই ভাবাচ্ছে কেকেআরকে।
কেকেআরকে হারিয়েই লিগ শীর্ষে উঠে এল সিএসকে। আর সেই সঙ্গে আরও জমে গেল প্লে অফের লড়াই। কীভাবে ইডেনে দক্ষিণী দাপট? কেন ধোনিকে নিয়ে এত আবেগ? ক্যাপ্টেন কুল বলে দিলেন, “আমি কলকাতায় অনেকটা সময় কাটিয়েছি। এখানে ফুটবল খেলতে এসেছি। পি সেন ট্রফি খেলতে এসেছি। এখানকার মানুষ সেসব ভোলেননি। তাই এত ভালবাসা। আমারও কলকাতায় খেলতে এলে নিজের শহরে খেলছি মনে হয়।”