রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স: ১৫৭-৮ (পাতিদার ৫৮, দু’ প্লেসিস ২৫)
রাজস্থান রয়্যালস: ১৬১-৩ (বাটলার ১০৬*, সঞ্জু ২৩)
রাজস্থান ৭ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরাট কোহলির (Virat Kohli) স্বপ্নভঙ্গ। স্বপ্নভঙ্গ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরেরও (Royal Challengers Bangalore)। এবারও আইপিএলের (IPL 2022) ফাইনালে পৌঁছতে পারল না তারা। ইডেনে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারিয়ে শুক্রবার মোতেরায় রাজস্থান রয়্যালসের (Rajasthan Royals) মুখোমুখি হয়েছিল আরসিবি। আশায় ছিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সমর্থকরা। কিন্তু তাঁদের সেই আশা শেষমেশ পূর্ণ হয়নি। রাজস্থান ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে পৌঁছে গেল। ইডেনে সেঞ্চুরি করে আরসিবি-কে জিতিয়েছিলেন রজত পাতিদার। এদিন রাজস্থানের জস বাটলার বিধ্বংসী ব্যাট করলেন। সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিনি। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আরসিবি বোলারদের শাসন করে গেলেন বাটলার। এবারের মেগা টুর্নামেন্টে স্বপ্নের ফর্মে বাটলার। চারটি পঞ্চাশ, চারটি সেঞ্চুরি তাঁর নামের পাশে লেখা। এখনও বাকি রয়েছে ফাইনাল। সেখানে আবার কোন অবতারে ধরা দেবেন বাটলার, তা একমাত্র তিনিই জানেন। আরসিবি-র বিরুদ্ধে অবশ্য বাটলার ১০৬ রানে (৬০ বলে) অপরাজিত থেকে যান। ১০টি বাউন্ডারি ও ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি। ১৮.১ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান রয়্যালস।
ফাইনালে গুজরাট টাইটান্সের সামনে রাজস্থান রয়্যালস। ইডেনে ঠিক যেখানে শেষ করেছিলেন, সেখান থেকেই শুরু করলেন রজত পাতিদার। বড় ম্যাচে বিরাট কোহলি ব্যর্থ। মাত্র ৭ রান করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণার বলটা খোঁচা মারলেন সঞ্জু স্যামসনের হাতে। ফ্যাফ দু’ প্লেসিস ও রজত পাতিদার আরসিবি ইনিংস টানার কাজ করেন। দু’ প্লেসিস ব্যক্তিগত ২৫ রানে ফেরেন। ৭৯ রানে ২ উইকেট হারায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। কিন্তু রজত পাতিদারকে থামানো যায়নি। দর্শনীয় কিছু কাট মারেন। যদিও ১৩ রানের মাথায় জীবন ফিরে পেয়েছিলেন রজত। শেষ পর্যন্ত ৫৮ রানে আউট হন তিনি। চারটি চার ও তিনটি ছক্কা হাঁকান পাতিদার।
[আরও পড়ুন: ময়দানের ‘গোলমেশিন’ ক্রোমার জার্সির রং বদল, একই দিনে চার ফুটবলারকে সই করাল টালিগঞ্জ]
মারকুটে অজি তারকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ২৪ রানে আউট হন। তিনি অবশ্য পাতিদারের আগেই ডাগ আউটে ফিরেছিলেন। বেশ ভালই এগোচ্ছিল আরসিবি। দ্রুত উইকেট খুইয়ে চাপ অনুভব করতে শুরু করে ব্যাঙ্গালোর। পাতিদার যখন ফেরেন তখন আরসিবির রান ছিল ৪ উইকেটে ১৩০ রান। কিন্তু তার পরই একের পর এক উইকেট পড়তে শুরু করে দেয়। মাহিপাল (৮), দীনেশ কার্তিক (৬), হাসারাঙ্গা (০), হর্ষল (১) কেউই রান পাননি। ফলে ২০ ওভারে আরসিবি করে ৮ উইকেটে ১৫৭ রান। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা ও ম্যাকয় তিনটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে যশস্বী জয়সওয়াল ও জস বাটলার শুরুটা দারুণ করেন। শুরু থেকেই আক্রমণের রাস্তা নেন রাজস্থান রয়্যালসের দুই ওপেনার। যশস্বী জয়সওয়াল ব্যক্তিগত ২১ রানে আউট হন। তখন রাজস্থানের রান ৬১। যশস্বী জয়সওয়াল ফিরে গেলেও বাটলার স্বমহিমায় ব্যাট করছিলেন। আরসিবি বোলারদের শাসন করছিলেন বাটলার। সঞ্জু স্যামসন (২৩) অযথা ক্রিজ ছেড়ে বেড়িয়ে মারতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এলেন। বিপজ্জনক বাটলারের ৬৬ রানে ক্যাচ ছাড়েন দীনেশ কার্তিক। সেই সময়ে বাটলারকে ফেরাতে পারলে ম্যাচের উপরে চেপে বসতে পারত আরসিবি। সেই সুযোগ নষ্ট করল তারা। উলটে বাটলার অপরাজিত থেকে ম্যাচ নিয়ে গেলেন আরসিবির সাজঘর থেকে।