সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুনীল নারিন, ব্র্যাড হগ, কুলদীপ যাদব (Kuldeep Yadav), বরুণ চক্রবর্তী। বছরের পর বছর স্পিন বিভাগে ‘রহস্য’ বজায় রেখে চলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। আসলে গৌতম গম্ভীরের আমলে যে স্পিনের ‘জাদু’তে সাফল্য মিলেছিল, সেই রহস্য স্পিনারের ফর্মুলা ছাড়তে চায় না নাইট ম্যানেজমেন্ট। এখন প্রশ্ন হল, নাইটদের দীর্ঘ রহস্য স্পিনারদের তালিকায় কি এবার নতুন সংযোজন হতে চলেছেন সুয়শ শর্মা (Suyasha Sharma)?
সুনীল নারিন (Sunil Narine), কুলদীপ যাদব, ব্র্যাড হগ, মায় বরুণ চক্রবর্তীর নামের পাশেও সুয়শের নাম এখনই লিখে দেওয়াটা হয়তো বড্ড বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। কিন্তু লক্ষ্মীবারের ইডেনে বিরাটদের লোয়ার মিডল অর্ডারকে তছনছ করে দেওয়ার পর উনিশের এই তরুণ যে ‘টক অফ দ্য টাউন’ হয়ে উঠেছেন, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু এখন প্রশ্ন হল কে এই সুয়শ শর্মা? কোথা থেকে তাঁকে আবিষ্কার করল নাইটরা?
বস্তুত, সুয়সের কেকেআরে (KKR) আসা, তাঁকে সই করানো, সবটাই তাঁর স্পিনের মতোই ‘রহস্যময়’। নাইটদের এই তরুণ স্পিনার একটাও প্রথম সারির ম্যাচ খেলেননি। নিজের রাজ্য দলের হয়ে কখনও খেলার সুযোগ পাননি। এমনকী কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানাও জানেন না, সুয়শের বাড়ি ঠিক কোথায়!কেকেআর শিবির শুধু এইটুকু জানে, সুয়শ দিল্লির ছেলে। আইপিএলের আগে নাইটদের ট্রায়ালে এসেছিলেন। সেখান থেকেই কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের নজরে আসেন তিনি। কেকেআরের পছন্দেই নিলামে যান তরুণ স্পিনার। তাঁকে ২০ লক্ষ টাকায় কেনে নাইটরা।
[আরও পড়ুন: গান্ধীর পরিচয় ও উত্তরাধিকার চিরদিনই RSS-BJP’র অস্বস্তির কারণ, তোপ মহাত্মার প্রপৌত্রের]
নাইটদের কোচ ম্যাচ শেষে বলছিলেন, “সুয়শ ট্রায়ালে এসেছিল। সেখানেই দেখি যে ও দু’দিকেই বল ঘোরাতে পারে। সেই দেখেই ওকে নেওয়া। অভিজ্ঞতা কম, কিন্তু প্রতিভা রয়েছে সুয়শের মধ্যে।” উনিশ বছরের সুয়শ মূলত লেগস্পিনার। কিন্তু সাধারণ লেগ স্পিনারদের মতো লেগ স্পিন, গুগলি তিনি করেন না। দু’দিকেই বল ঘোরাতে পারেন। এবং কোনটা কোন দিকে ঘুরবে, সেটা হাত দেখে বোঝা মুশকিল। বলটা ছাড়ার সময় সুয়শের মুখ আকাশের দিকে উঠে যায়।
[আরও পড়ুন: ‘দেশের জনবিন্যাস বদলে গেলে সংবিধানের অস্তিত্বই থাকবে না’, আশঙ্কা মাদ্রাজ হাই কোর্টের বিচারপতির]
উনিশ বছরের সুয়শ যে একেবারে ব্যাট করতে পারেন না, তা নয়। সময় এলে নাকি ব্যাট হাতেও ‘ম্যাজিক’ দেখাতে পারেন তিনি। তবে মূলত তিনি বোলার। সুয়শের কাঁধ পর্যন্ত চুল। মুখে সর্বদা হাসি। এর আগে বড় স্তরে খেলা বলতে দিল্লির অনূর্ধ্ব-২৫ দলে একবার সুযোগ পেয়েছিলেন। রাজ্যের দলে কখনও সুযোগ পাননি। তারপরই কেকেআর। সে অর্থে বড় মঞ্চে এই প্রথম নামলেন তিনি।