সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাইট জার্সিতে প্রথমবার খেললেন আফগান তারকা গুরবাজ (Rahmanullah Gurbaz)। প্রথম দিনই তিনি তাঁর দলের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের সার্টিফিকেট পেয়ে গেলেন। ব্যাট হাতে চটজলদি ২৩ রান করেন গুরবাজ। আবার উইকেটের পিছনে গ্লাভস হাতে দুটো ক্যাচ ধরেন তিনি। কিন্তু গুরবাজ মন জিতে নিয়েছেন অন্য কারণে।
অসুস্থ মা হাসপাতালে। তাঁকে দেখতে কলকাতা থেকে আফগানিস্তান উড়েও গিয়েছিলেন। কিন্তু ইংল্যান্ডের তারকা ওপেনার ফিল সল্ট দেশে ফিরে যাওয়ায় গুরবাজের ডাক পড়ে। তাঁকে ফিরে আসার বার্তা পাঠানো হয়। আফগান তারকা কালবিলম্ব না করে পরিবারের টানে ফিরে আসেন নাইটদের শিবিরে। সরাসরি নেমে পড়েন আহমেদাবাদে।
[আরও পড়ুন: দলকে বদলে দিয়েছেন শাহরুখ, বাদশা জাদুতে মজে ফাইনালে ওঠা KKR তারকারা]
কেকেআর ফাইনালে পৌঁছনোর পরে গুরবাজকে বলতে শোনা গিয়েছে, ''আমার মা এখনও অসুস্থ। আমি আফগানিস্তানে ফিরে গিয়েছিলাম। ফিল সল্ট চলে যাওয়ার পরে আমাকে কেকেআর থেকে ফোন করা হয়। আমাকে ফোন করে এবং মেসেজ পাঠিয়ে বলা হয়, গুরবাজ তোমাকে আমাদের দরকার। তোমার অবস্থা কেমন? ওই বার্তার পরে আমি জানাই, আমি আসছি।''
নীতীশ কুমার ও প্যাট কামিন্সের ক্যাচ ধরেন গুরবাজ। রাহুল ত্রিপাঠীকে রান আউটও করেন গুরবাজ। অবশ্য রাহুলের রান আউটের পিছনে সিংহভাগ কৃতিত্ব আন্দ্রে রাসেলেরই। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের রান তাড়া করতে নেমে গুরবাজ ১৪ বলে ২৩ রান করেন। ২টি বাউন্ডারি ও ২টি ওভার বাউন্ডারি হাঁকান তিনি। নাইট তারকা বলছেন, ''হাসপাতালে মায়ের চিকিৎসা এখনও চলছে। আমি প্রতিদিনই মায়ের সঙ্গে কথা বলি। আমি জানি কেকেআর-ও আমার আর এক পরিবার। আমাকে ওদের দরকার। তাই আফগানিস্তান থেকে আমি ফিরে এসেছি। খুব কঠিন পরিস্থিতি তবে আমি মানিয়ে নেব।'' আহমেদাবাদে ম্যাচের শেষে বলেন গুরবাজ। কেকেআর অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার নাইট উইকেট কিপার প্রসঙ্গে বলেন, ''গুরবাজের এটাই প্রথম ম্যাচ ছিল। ও প্রভাব ফেলেছে ম্যাচে।''