সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার আইপিএলের (IPL 2024) রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে মাত্র এক রানে হারিয়েছেন নাইটরা (Kolkata Knight Riders)। যদিও ম্যাচের যাবতীয় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল বিরাটের (Virat Kohli) আউট। ম্যাচের তিন নম্বর ওভারে হর্ষিত রানার ফুল টস তাঁর ব্যাটে লেগে ক্যাচ হয়ে যায়। যদিও বেঙ্গালুরু (Royal Challengers Bengaluru) ব্যাটারের দাবি, বল কোমরের উপরে ছিল। ফলে নো বল হওয়া উচিত। কিন্তু রিপ্লে দেখেও আউটের সিদ্ধান্ত বজায় রাখেন আম্পায়াররা। তার পরেই রাগে ফেটে পড়েন বিরাট। রীতিমতো তর্ক জুড়ে দেন আম্পায়ারদের সঙ্গে। এমনকী ডাগ আউটে গিয়েও ঠান্ডা হতে পারেননি তিনি।
কিন্তু সত্যিই কি আউট ছিলেন বিরাট? কী বলছে আইসিসির নিয়ম? চলতি আইপিএলে বেশ কিছু নতুন প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। যার মধ্যে আছে হক আই টেকনোলজি। বিরাটের আউটের পর সেই পদ্ধতিতেই দেখা হয়েছে সত্যিই তিনি আউট ছিলেন কিনা? ওই সময় ক্রিজ থেকে সামান্য এগিয়ে থেকে ব্যাট করছিলেন বেঙ্গালুরু তারকা। তিনি যখন শট নেন, বল তখন কোমরের উপরেই ছিল। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটার যদি ক্রিজের মধ্যে থাকতেন তাহলে কোমরের নিচেই থাকত বলটি। কারণ ওই সময়ে বলের উচ্চতা হত .৯২ মিটার। আর সেখানে কোমর পর্যন্ত কোহলির গড় উচ্চতা ১.০৪ মিটার। নতুন বল ট্র্যাকিং প্রযুক্তিতে সেই ছবিই ধরা পড়েছে। তার পরই মাঠের আম্পায়াররা আউটের সিদ্ধান্ত নেন।
[আরও পড়ুন: আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষোভপ্রকাশ করে শাস্তির মুখে পাঞ্জাব অধিনায়ক, জরিমানা ফ্যাফেরও]
সোশাল মিডিয়ায় বিরাটের আউটের মুহূর্তের ছবি তুলে ধরে বার্তা দেয় সম্প্রচারকারী চ্যানেল। তারা লেখে, "নিয়ম অনুযায়ী বিরাট অবশ্যই আউট। রুল বুক বলছে, ক্রিজে থাকার সময় বল যদি কোমরের উপরে থাকে তাহলে নো বল হিসেবে ধরা হয়। এক্ষেত্রে কোহলি ক্রিজের বাইরে ছিল। কিন্তু ক্রিজের ভিতরে থাকলে এটা বৈধ ডেলিভারি হত।" বর্তমান ক্রিকেটের ৪১.৭.১ ধারা অনুযায়ী কোনও বল যদি সোজা ব্যাটারের কোমরের উপর দিয়ে যায় বা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, সেটিকে নো বল ঘোষণা করা হয়।
কোহলির আউট প্রসঙ্গে কলকাতার উইকেটকিপার ফিল সল্টও মুখ খোলেন। তিনি জানান, "এই ধরনের সিদ্ধান্তে সবসময়ই মতবিরোধ থাকে। তবে মনে হয়, সিদ্ধান্তটা আমাদের পক্ষেই গিয়েছে। এইসব ক্ষেত্রে অনেক সময় কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সেটাতে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তার জন্যই নো বলের সিদ্ধান্তে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে। একজন প্লেয়ারের দৃষ্টি থেকে বলতে পারি, যখনই তথ্য আর প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়, তখন আরও নিপুণ হওয়ার সুযোগ থাকে। সেটা ক্রিকেটের জন্য ভালোই হবে।"