সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মরশুমে দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। প্রথম একাদশের চৌহদ্দিতে থাকা প্রায় সব ক্রিকেটারই দুর্দান্ত পারফর্ম করছেন। স্বাভাবিকভাবেই সেই চ্যাম্পিয়ন দল ফিরে পেতে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু সমস্যা হল আগের বছরের থেকে মাত্র ৬ জন ক্রিকেটারকে রিটেন করা যাবে এই মরশুমে। তারও বহুবিধ শর্ত রয়েছে। ফলে রিটেনশনের তালিকা প্রস্তুত করতে গিয়ে মাথার চুল ছিঁড়তে হচ্ছে নাইট ম্যানেজমেন্টকে।
প্রথম প্রশ্ন হল, অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার কি এই মরশুমেও কেকেআরে খেলবেন? শোনা যাচ্ছে, শ্রেয়স নাকি নিলামে ফিরে যেতে চাইছেন। একাধিক দলের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ফলে নিলামে কেকেআরের থেকে বেশি টাকা পাবেন বলে ধরেই নিচ্ছেন তিনি। সেখানেই সমস্যায় নাইটরা। শ্রেয়সকে ছাড়তে চায় না নাইটরা। কারণ, তাঁর নেতৃত্বেই গতবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কেকেআর। তাছাড়া ব্যাট হাতেও বেশ ভালো তিনি। এই মানের ভারতীয় ব্যাটার এবং অধিনায়ক পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। শোনা যাচ্ছে, বুধবার থেকে ফের শ্রেয়সের সঙ্গে বসা হবে। নিতান্তই তিনি রিটেন হতে না চাইলে তাঁর জন্য আরটিএমও ব্যবহার করতে পারে নাইটরা। আর নিতান্তই যদি শ্রেয়স কেকেআরে খেলতে না চান, সেটা আলাদা ব্যাপার।
নাইট শিবির মোটামুটি ঠিক করে ফেলেছে, যে কোনও মূল্যে রিটেন করা হবে রিঙ্কু সিংকে। দলের নিউক্লিয়াস হিসাবে থেকে যাবেন আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিনরা। সেই সঙ্গে হর্ষিত রানারও রিটেন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রানাকে কেকেআর পাচ্ছে আনক্যাপড ক্রিকেটার হিসাবে। রিটেন করা হতে পারে বরুণ চক্রবর্তীকেও। আবার রমণদীপের নামও শোনা যাচ্ছে আনক্যাপডের তালিকায়।
এর বাইরেও ভেঙ্কটেশ আইয়ার, নীতীশ রানা, ফিল সল্ট, মিচেল স্টার্করা রয়েছেন। রয়েছেন রহমনুল্লাহ গুরবাজ, বৈভব অরোরাও। এদের মধ্যে গুরবাজকে আবার সদ্যই দেখা গিয়েছে নাইট মালিক শাহরুখ খানের সঙ্গে। যা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় জল্পনাও ছড়ায়। তবে শেষ পর্যন্ত খবর গুরবাজ রিটেন হচ্ছেন না। তবে নাইট ম্যানেজমেন্ট বুঝে গিয়েছে, আগেরবারের মতো দল হুবহু পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে অনেক ক্রিকেটারকে নিলাম থেকে কিনে দলে ফেরানোর চেষ্টা হবে। সেটাও না হলে তাঁদের বিকল্পের সন্ধান করতে হবে।