সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র ছ’মাসে ইরানে গর্দান গেল ৩৫৪ জনের! প্রতিবাদের কণ্ঠরোধ করতে জল্লাদেই ভরসা রাখছে ইসলামিক দেশটির প্রশাসন। এনিয়ে রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি।
গত বছর পুলিশের মারে তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর থেকেই দেশটিতে শুরু হয়েছে তুমুল সরকার বিরোধী প্রতিবাদ। প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও সুপ্রিম লিডার আলি খামেনেইর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ দেখাচ্ছে মুক্তমনারা। সেই স্বর থামিয়ে দিতেই ফাঁসির মঞ্চে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেককেই।
পরিসংখ্যান বলছে, এ বছর এখনও পর্যন্ত ৩৫৪ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে ইরানে।২০২২ সালে ৫৮২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল দেশটিতে। মানবাধিকার সংগঠনগুলি সোমবার জানিয়েছে, রাষ্ট্রের নির্দেশে এহেন হত্যার ঘটনা ক্রমে বেড়েই চলেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পুলিশের মারে মৃত্যু হয় মাহসা আমিনির। জানা যায়, হিজাব না পরায় তাঁকে আটক করেছিল পুলিশ। হেফাজতে থাকাকালীনই নীতি পুলিশের মারে মৃত্যু হয় মাহসার। তারপর থেকেই হিজাব বিরোধিতায় অশান্ত হয়ে ওঠে ইরান। অভিযোগ, এই আন্দোলনকে দমন করার জন্যই মিথ্যা মামলায় অনেককেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: পুড়ছে ‘প্রেমের দেশ’, নাতিকে হারিয়েও শান্তির বার্তা ফরাসি বৃদ্ধার]
নরওয়ে স্থিত মানবাধিকার সংগঠন ‘ইরান হিউম্যান রাইটস’ জানিয়েছে, জুনের ৩০ তারিখ পর্যন্ত ৩৫৪ জনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। যেখানে ২০২২ সালের প্রথম ছয় মাসে এই সংখ্যাটা ছিল ২৬১। এ বছর ২০৬ জনকে মাদক সংক্রান্ত মামলায় ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।
‘ইরান হিউম্যান রাইটস’-এর ডিরেক্টর মাহমুদ আমিরি-মোগাদ্দামের মতে, মৃত্যুদণ্ড ব্যবহার করা হচ্ছে সমাজে ভীতি প্রদর্শনের জন্য এবং বাড়তে থাকা প্রতিবাদকে দমন করার উদ্দেশ্যে। যাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেই নিপীড়িত। সমাজের নিচু স্তরের বাসিন্দা।