সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্পর্ক ভাঙা-গড়া জীবনের একেকটা পর্যায়ে চোরাপথেই আসে! মাঝপথে যদি থেমে যায় কোনও সম্পর্কের গতি? সেটা যে কোনও ব্যক্তির জন্যই সুখকর নয়, তা বলাই বাহুল্য! জীবনের কি এমনই একটি মোড়ে এসে পৌঁছেছেন যিশু-নীলাঞ্জনা? সোশাল মিডিয়ায় নামের পাশে যেখানে এতদিন 'সেনগুপ্ত' পদবী জ্বলজ্বল করত, সেই পরিচয় এখন বদলে ফেলেছেন নীলাঞ্জনা। মন খারাপের পোস্টও ভিড় করেছে তাঁর সোশাল ওয়ালে। তাহলে কি টলিপাড়ার তারকাদম্পতির সুখের সংসারে ভাঙন ধরেছে?
টলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে অবশ্য এমন অনভিপ্রেত গুঞ্জনই শোনা যাচ্ছে! যিশু বর্তমানে টলিউড, বলিউডের পাশাপাশি দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও ব্যস্ত। জাত অভিনেতা হিসেবে নিজেকে চিনিয়ে দিয়েছেন। বেশিরভাগ সময়ই মুম্বইতে ব্যস্ত থাকেন তিনি। শোনা যাচ্ছে, সেখানেই নাকি কাউকে মন দিয়ে ফেলেছেন (অভিনেত্রী নন)! আর সেই তৃতীয় ব্যক্তির জন্যই সংসারে অশান্তি। দিন কয়েক আগেই দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন অভিনেত্রী-প্রযোজক। ডিহাইড্রেশনে ভুগেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বলে শোনা গিয়েছিল। তবে এখন নীলাঞ্জনার সোশাল ওয়ালে মন খারাপের ভিড়। কখনও নিজের পিঠ চাপড়ে কঠিন সময়কে জয় করার পোস্ট দেখা যাচ্ছে, আবার কখনও বা নীলাঞ্জনা তাঁর কাছের মানুষ হিসেবে দুই মেয়ে সারা-জারা এবং বোন চন্দনার কথা উল্লেখ করেছেন। বিধ্বস্ত অবস্থাতেও সুন্দর থাকার পাঠ দিয়েছেন নীলাঞ্জনা।
[আরও পড়ুন: পুড়ছে বাংলাদেশ, জ্বলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়! অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে কী বলছেন মিথিলা, স্বস্তিকারা?]
যিশু-পত্নী লিখেছেন, "এই বছরটা জুড়ে থাকল একের পর এক হারানো, একটার পর একটা ক্ষতিতে, একের পর এক যুদ্ধতে। কঠিন সময় জীবনের আসল রং দেখতে পেলাম। দেখলাম, ভেঙে পড়লেও তা সুন্দর থাকা যায়, জানলাম আমায় ভালবাসার এবং ঘিরে রাখার কত মানুষ আছেন, আমার জীবনের শক্তির স্তম্ভ, হৃৎস্পন্দন হল সারা, জারা, এবং চন্দনা। তোমাদের ভালোবাসি। যাঁরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই কঠিন সময় পেরিয়ে ফিরে আসার জন্য একটু সময় নিচ্ছি।" পাশাপাশি নীলাঞ্জনা আরও লেখেন, "জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার সময় তোমাকে সবথেকে শক্তিশালী করে তোলে"। সেই পোস্ট এবং নামের পাশ থেকে পদবী সরিয়ে নেওয়ার পর থেকেই সংসারে ভাঙন ধরার জল্পনার সূত্রপাত! এই বিষয়ে অভিনেত্রী-প্রযোজককে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এর তরফে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, পাওয়া যায়নি! মাসখানেক আগে মা অঞ্জনা ভৌমিককেও হারিয়েছেন নীলাঞ্জনা।
২০০৪ সালে নীলাঞ্জনার সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন যিশু সেনগুপ্ত। ধারাবাহিক, টেলিসিরিজের পর্দায় যিশু তখন জনপ্রিয় মুখ। অঞ্জনা ভৌমিকের জেষ্ঠকন্যা নীলাঞ্জনাও তখন অভিনয়জগতে বেশ জনপ্রিয়। তার পর যিশু-নীলাঞ্জনার প্রেমমাখা সুখের সংসার সারা এবং জারা দুই কন্যাসন্তান এল। সন্তান-সংসারই নীলাঞ্জনার ধ্যানজ্ঞান হয়ে ওঠে। এদিকে টলিউড, বলিউডের একের পর এক সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত তখন যিশু। এই কর্মব্যস্ততাই কি যিশু-নীলাঞ্জনার দূরত্ব বাড়াল? কানাঘুষো বিচ্ছেদের জল্পনা-গুঞ্জন যতই শোনা যাক না কেন, আশা করা যায় এই দূরত্ব ঘুচে গিয়ে আবারও সুখীদম্পতি হিসেবে একফ্রেমে ধরা দেবেন তাঁরা।