সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে আইএস নাশকতার আশঙ্কায় সম্প্রতি রেড অ্যালার্ট জারি করেছে এনআইএ৷ কিন্তু সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি৷ এর ঠিক একদিন পরই তাঁর নিজের রাজ্যে আবারও প্রকাশ্যে উড়ল জঙ্গি সংগঠন আইএসের পতাকা৷ জাতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস নাউ প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদে আইএসের পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বেশ কয়েকজন৷ ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে গিয়েছে এই ভিডিও৷ যার ফলে প্রবল চাপে পড়েছেন পিডিপি সুপ্রিমো৷
[অগস্টায় বাধ্য হন মনমোহন, বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস মিশেলের চিঠিতে]
এনআইএ-র করা তল্লাশি অভিযানকে কটাক্ষ করে কয়েকদিন আগেই টুইট করেন মেহবুবা মুফতি৷ টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘দেশের নিরাপত্তা অবশ্যই প্রয়োজনীয় বিষয়৷ কিন্তু শুধুমাত্র সুতলি বোমা উদ্ধার হওয়ার নিরিখে, কাউকে আইএস জঙ্গি ঘোষণা করা, খুবই অপরিপক্ক যুক্তি৷’’ এমনকী, আইএস যোগ থাকায় ধৃত দশজনের পক্ষেও সওয়াল করেন পিডিপি প্রধান৷ এই বিতর্কিত টুইটের পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় রোষের মুখে পড়েন মুফতি৷ তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটিজেনদের একাংশ৷ তবে, জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সবচেয়ে বড় ধাক্কা ফেলেন শুক্রবার৷ যখন শ্রীনগরের জামিয়া মসজিদে জনসমক্ষে উড়ল আইএসের পতাকা৷ টাইমস নাউ প্রচারিত ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মসজিদের বাইরে কালো আইএসে পতাকা ওড়াচ্ছে বেশ কয়েকজন এবং তাঁদের প্রতিহত করার চেষ্টা করছেন নিরাপত্তারক্ষীরা৷
[সেনার তৎপরতায় প্রাণ বাঁচল নাথুলায় আটকে থাকা ২৫০০ পর্যটকের]
প্রসঙ্গত, গত বুধবার উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লির সতেরোটি এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে আইএস সন্দেহে দশ জনকে গ্রেপ্তার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ৷ ধৃতরা আইএসের ভারতীয় শাখা হরকত-উল-হার্ব-এ-ইসলামের সদস্য বলে জানান এনআইএ অফিসাররা। জানা গিয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবস ও আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজধানী-সহ দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফিদায়েঁ হামলার ষড়যন্ত্র করছিল তারা। জঙ্গিদের নিশানায় ছিলেন, দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা, বিদেশী রাষ্ট্রদূতরা এবং আরএসএস-এর মতো বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদর দপ্তর ও নেতারা৷ ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়, রকেট লঞ্চার, ১২টি পিস্তল, ৫১টি পাইপ বোমা, ১৫০ রাউন্ড কার্তুজ, ২৫ কেজি বিস্ফোরক, সাড়ে সাত লক্ষ টাকা, একশোটি মোবাইল ফোন, ১৩৫টি সিম কার্ড, বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ ও মেমোরি কার্ড৷