সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উইঘুর মুসলিমদের নিপীড়ন নিয়ে তালিবানকে একহাত নিল ইসলামিক স্টেট (ISIS)। চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে ‘উইঘুরদের গণহত্যাকারী’ চিনকে সমর্থন করার অভিযোগ তুলে এবার তালিবানকে হুমকি দিল ইসলামিক স্টেট খোরাসান।
[আরও পড়ুন: বালোচিস্তানে চলছে ভয়াবহ লড়াই, হু হু করে বাড়ছে নিহত পাক সেনার সংখ্যা]
সন্ত্রাসজর্জরিত শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের গণহত্যাকে ‘চিনের অভ্যন্তরীণ বিষয়’ বলে চিহ্নিত করে তালিবান ‘ইসলামবিরোধী’ কাজ করেছে বলে শুক্রবার ইসলামিক স্টেট খোরাসানের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি, ইরান এবং রাশিয়াও একই ধরনের গণহত্যা চালাচ্ছে বলে সংগঠনের প্রচারশাখা ‘ভয়েস অফ খোরাসান’-এর অভিযোগ। দাবি করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার আশাতেই শিনজিয়াংয়ে মুসলিম গণহত্যায় সমর্থন জানাচ্ছে তালিবান। মুসলিম বিরোধী দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে আফগানিস্তানের নতুন শাসকরা।
বলে রাখা ভাল, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে কাবুল দখল করে তালিবান (Taliban)। মার্কিন ফৌজ বিদায় নিলেও আখুন্দজাদার সংগঠনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে আইএস। মার্কিন ফৌজ সরে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দর-সহ একাধিক তালিবান নেতার উপর হামলা চালায় খোরাসানের জঙ্গিরা।
উল্লেখ্য, তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। ওই মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা। বিশেষত, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া। পরে নানগরহর প্রদেশে আমেরিকান অভিযানের ফলে আইএস বড় ধাক্কা খায়। কিন্তু ফের শক্তি সংগ্রহ করছে তারা।