সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবান (Taliban)। জঙ্গিরা রাজধানী কাবুল দখল করার পর সে দেশ ছেড়ে দ্রুত পালাচ্ছে মার্কিন ও বিদেশি নাগরিকরা। আর পালানোর একমাত্র পথ হচ্ছে কাবুল বিমানবন্দর। কিন্তু আমেরিকার নিয়ন্ত্রণে থাকা হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলার ছক তৈরি করছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (খোরাসান) ।
[আরও পড়ুন: উদ্বেগ বাড়াচ্ছে আফগানিস্তান, অজিত ডোভালের সভাপতিত্বে আলোচনায় BRICS]
বর্তমানে পাকিস্তান, তাজিকিস্তান ও ইরানের সঙ্গে সমস্ত সীমান্ত চৌকি দখল করেছে তালিবান। ফলে আফগানিস্তান থেকে অন্য দেশে যেতে হলে কাবুল বিমানবন্দর ছাড়া গতি নেই। এপর্যন্ত প্রায় ১৮ হাজার নাগরিককে পাহাড়ি দেশটি থেকে বের করে এনেছে ওয়াশিংটন। এখনও সেখান দিয়েই মার্কিন ও বিদেশি নাগরিকদের উদ্ধার করার কাজ চলছে। এহেন পরিস্থিতিতে ৩১ আগস্টের পরও আফগানিস্তানে সেনা (Afghanistan) রাখতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর এতেই বেজায় খাপ্পা জেহাদিরা। ডেডলাইন না মানলে ফল ভাল হবে না বলে আমেরিকাকে শাসিয়েছে তালিবান। আর পরিস্থিতি আরও জটিল করে এবার কাবুল বিমানবন্দরে হামলার ছক তৈরি করছে ইসলামিক স্টেট।সেই হামলা ঠেকাতে বিমানবন্দরে প্রবেশের বিকল্প ও নিরাপদ পথ খুঁজছে মার্কিন ফৌজ।
গত কয়েক দিন ধরেই নানা ঘটনার সাক্ষী রয়েছে কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। আফগান নাগরিকরা বিমানবন্দরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করতেই তাঁদের দিকে গুলি ছোঁড়ে তালিবান। এবার আফগান নাগরিকদের বিমানবন্দরে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান। ক্ষমতায় আসার আগে তালিবান প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তারা কোনও হিংসাত্মক কাজে জড়িত হবে না, মেয়েদের অধিকারও বজায় থাকবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে উলটো পরিস্থিতি। চরম আতঙ্কে ভুগছেন আফগানিস্তানের মহিলারা। এর মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়েছে ইসলামিক স্টেটের হামলার আশঙ্কা।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হয়। জন্মলগ্ন থেকেই তালিবান জঙ্গিদের নিজেদের দলে আনার চেষ্টা শুরু করে এই মৌলবাদী সংগঠনটি। তারপর থেকেই আফগানিস্তানে আমেরিকা ও ন্যাটো বাহিনীর উপর হামলা চালাচ্ছে জঙ্গিগোষ্ঠীটি। এবার আমেরিকা সেনা সরাতেই তৎপর হয়েছে আইএস জঙ্গিরা। এমনটাই আশঙ্কা করছেন গোয়েন্দারা।