সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের নোয়াখালির ইসকন (ISKCON) মন্দিরে হামলার ঘটনায় এবার রাষ্ট্রসংঘের (United Nations) দ্বারস্থ কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় নিন্দাপ্রস্তাবের আবেদন জানিয়ে ইসকন কর্তৃপক্ষের তরফে চিঠি লিখল। তাতে লেখা – “বাংলাদেশের হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর এ ধরনের ধারাবাহিক হিংসামূলক ঘটনায় অবিলম্বে নিন্দা প্রস্তাব আনা হোক। এবং সেইসঙ্গে রাষ্ট্রসংঘের এক প্রতিনিধিদল পাঠানো হোক বাংলাদেশে, যাতে তাঁরা পরিস্থিতি স্বচক্ষে দেখে যেতে পারেন।” বিষয়টি নিয়ে সর্বস্তরে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
শুক্রবার অর্থাৎ বিজয়া দশমীর (Dashami) দিন নোয়াখালি জেলার ইসকন মন্দিরে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। কোরান ‘অবমাননার’ অভিযোগে হিন্দুদের ধর্মীয় স্থানটিতে ভাঙচুর চলে। ইসকন মন্দিরের পরিকাঠামোর বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, পার্থ দাস নামের মন্দিরের এক সদস্যকে খুন করে হামলাকারীরা। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে হামলার ঘটনাটি তুলে ধরছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের কাছে হিন্দুদের সুরক্ষা ও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানিয়েছে তারা। তবে শনিবার দুপুরের দিকে রাষ্ট্রসংঘেও একটি চিঠি পাঠানো হয় ইসকন কর্তৃপক্ষের তরফে। আসলে এই স্পর্শকাতর বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ইস্যু করতে চাইছে বাংলাদেশ (Bangladesh)।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ইসকন মন্দিরে ভাঙচুর, সাম্প্রদায়িক হিংসায় নিহত সংখ্যালঘু]
উল্লেখ্য, গত বুধবার অর্থাৎ অষ্টমীর রাতে বাংলাদেশের একাধিক পুজোমণ্ডপে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) প্রশাসন। এই হিংসাত্মক ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন এপার বাংলার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কুণাল ঘোষ। এদিকে, মণ্ডপে হামলার ঘটনার দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi) চিঠি লেখেন পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে এসবের চেয়েও এই মুহূর্তে বড় হয়ে উঠেছে ইসকন মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা।