সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফিরতি ডার্বিতে আত্মঘাতী গোল করে দলকে চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। যদিও সে যাত্রায় সতীর্থরা তাঁর সম্মান বাঁচান। এসসি ইস্টবেঙ্গলকে (SC East Bengal) হারিয়ে আইএসএলের (ISL) জোড়া ডার্বির রং হয়ে যায় সবুজ-মেরুন। কিন্তু আর শেষ রক্ষা হল না। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ম্যাচে সেই একই ভুল করে বসলেন তিরি। আর তাতেই নিঃসন্দেহে এটিকে মোহনবাগান সমর্থকদের কাছে ভিলেন হয়ে উঠলেন তিনি। তাঁর ভুলের মাশুল গুণতে হল গোটা দলকে। গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত খেলেও উদ্বোধনী মরশুমে ট্রফি জেতা হল না গঙ্গাপারের ক্লাবের (ATK Mohun Bagan)।
তবে তিনি একা নন। এদিনের হারের জন্য এটিকে মোহনবাগানের দুর্বল রক্ষণ ও গোলকিপার অরিন্দমকেও কাঠগড়ায় তুলতেই হয়। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে একটি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হল রক্ষণকে। অরিন্দম গোলপোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসায় বিপক্ষের কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের গোলে বাজিমাত, এটিকে মোহনাবাগানকে হারিয়ে প্রথমবার ISL চ্যাম্পিয়ন মুম্বই]
তবে চ্যাম্পিয়নদের মতো খেলেই জিতল মুম্বই। প্রথম থেকেই লোবেরা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁরা এবার সিংহের মতোই জোরদার থাবা বসাবেন টুর্নামেন্টে। যার প্রথম গ্রুপ লিগে বারবার দিয়েছেন সে দলের ফুটবলাররা। ফাইনালেও তার ব্যতিক্রম হল না। এটিকে মোহনবাগানের সঙ্গে গত দু’বারের সাক্ষাতে দু’বারই বাজিমাত করেছিল মুম্বই। শেষ সাক্ষাতে তো লোবেরার ছেলেদের কাছে হারায় এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার স্বপ্নই ভঙ্গ হয় হাবাসবাহিনীর। আর এবার হাতছাড়া হল ট্রফি। সবমিলিয়ে সৈকত শহরে এবার তিনবারই আরবনগরীর কাছে সলিল সমাধি হল ‘স্প্য়ানিশ আর্মাডা’র।
গোটা টুর্নামেন্টে দুরন্ত ছন্দে থাকা রয় কৃষ্ণও এদিন ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে পারলেন না। ডেভিড উইলিয়ামস গোল করে শুরুতে দলকে এগিয়ে দিলেও মুম্বইয়ের মেরুদণ্ড ভাঙা যে সহজ ছিল না, তা বিপিন সিংদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজই স্পষ্ট করে দিয়েছিল। তীরে এসে তরী ডোবার পর সবুজ-মেরুনে তিরির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠে গেল বই কী।