স্টাফ রিপোর্টার: ঠিক ছিল, হারলেই কোচের দায়িত্ব থেকে দিয়াজকে (Manolo Díaz) সরিয়ে দেবে লাল-হলুদ কর্তৃপক্ষ। তাহলে হায়দরাবাদ এফসির বিরুদ্ধে ড্রয়ের পর দিয়াজ ইস্যুতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের (SC East Bengal) অবস্থানটা কী হবে? তাহলে কি মরশুমের বাকি সময়ের জন্য লাল-হলুদ কোচের চেয়ারে থেকে গেলেন স্প্যানিশ কোচ?
ফ্র্যাঞ্জো গোড়ালির চোটের জন্য খেলতে পারেননি। কার্ড সমস্যায় নেই সেরা বিদেশি পেরোসেভিচও। তবুও হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে হারতে হয়নি। মোটের উপর খারাপ খেলেনি দল। চিমা যদি সহজ সুযোগটা নষ্ট না করতেন, তাহলে ম্যাচটা জিতেও যেতে পারতো লাল-হলুদ। ফলে টিম ম্যানেজমেন্টের মনে হয়েছে, হায়দরাবাদ (Hydrabad FC) ম্যাচের পরেই দিয়াজকে সরিয়ে দিলে বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে। তাছাড়া দিয়াজ নিজে পদত্যাগ করতে রাজি নন। কোচকে বরখাস্ত করলে, পুরো মরশুমের বেতন দিতে হবে। এই মরশুমে দল চালাতে গিয়ে অতিরিক্ত কোনও অর্থ খরচ করতে রাজি নন কর্তারা।
[আরও পড়ুন: ISL 2021: হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ড্র, কোচের ভাগ্য নির্ধারণের ম্যাচেও জয় পেল না এসসি ইস্টবেঙ্গল]
তার উপর বড়দিনের আবহে কোচ বাতিলের কাজটাও করতে চাইছেন না কর্তারা। তাহলে কি দিয়াজের কোচিং নিয়ে সমালোচনা বন্ধ হয়ে গেল? সেটা কিন্তু একদমই নয়। আদিল খানের (Adil Khan) মতো স্টপার মাঠের বাইরে বসে আছেন। আর রাজু গায়কোয়াড় প্রতিদিন খেলে চলেছেন, এটা অনেকেই মানতে পারছেন না। গোয়ায় থাকা এসসি ইস্টবেঙ্গল সিইও শিবাজি সমাদ্দার কথা বলছেন কোচের সঙ্গে। আলোচনা চলছে, চুক্তি বাতিল হলে দিয়াজের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণটা কত হবে?
[আরও পড়ুন: ISL 2021: কোচ বদলেই ভাগ্য বদল, হাবাস পরবর্তী জমানার প্রথম ম্যাচেই জয় এটিকে মোহনবাগানের]
এসসি ইস্টবেঙ্গলের পরের খেলা ৪ জানুয়ারি বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে। তার আগে কোচের সঙ্গে ফের আলোচনায় বসা হবে। জানানো হবে, কোচের কোন কোন বিষয়ে তাঁরা খুশি হতে পারছেন না। ফলে দিয়াজের আপাতত টেনশন মিটলেও, পুরোপুরি মিটল বলা যায় না। এখন প্রতিটা ম্যাচেই তাঁর পরীক্ষা।