সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু আশা, বহু স্বপ্ন। চোখের সামনে যেন তাসের ঘর ভেঙে পড়ছে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের। ডুরান্ডে বিদায়ের ক্ষত তাও একটু পুরনো। এএফসি-র প্রাথমিক পর্বের ম্যাচে হার ছাড়া কিছুই জোটেনি। আশা-ভরসা বলতে আপাতত আইএসএল। আর তাতে হারের হ্যাটট্রিক। ধৈর্য্যের বাঁধ যেন ভেঙে গিয়েছে লাল-হলুদ জনতার। মোহ কাটছে 'প্রফেসর' কুয়াদ্রাতকে নিয়েও। সমর্থকদের মধ্যে থেকে স্লোগান উঠল 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস'।
এবার ঢেলে দল সাজিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। একেবারে তারকাখচিত দল। অথচ পারফরম্যান্সে সবই মেঘে ঢাকা। কী করে দায় এড়াবেন কোচ কুয়াদ্রাত? আইএসএলে প্রথম ম্যাচে বেঙ্গালুরুর কাছে হার, দ্বিতীয় ম্যাচে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে। দুটি ম্যাচই ছিল বাইরের মাঠে। ঘরের মাঠে দল ছন্দে ফিরবে, আশা ছিল অগণিত ভক্তদের। যুবভারতীতেও গোয়ার কাছে ৩-২ গোলে হারার পর ক্ষুব্ধ সমর্থকরা। ম্যাচের পর মাঠের বাইরে সমস্বরে সেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন লাল-হলুদ জনতা।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের পর প্রশ্ন স্ট্র্যাটেজি নিয়ে। ডিফেন্স নিয়ে কথা উঠবেই। হিজাজির গোলটা নাহয় ব্যক্তিগত ভুল। কিন্তু বাকি দুটো গোলের সময় কি ডিফেন্স ঘুমিয়ে ছিল? আক্রমণে উঠলে কেউ কাউকে যেন চিনতে পারছেন না। মাঝমাঠে বিস্তর ফাঁকা। সমর্থকদের মুখেও শোনা গেল সেটারই প্রতিধ্বনি। কিন্তু এই ম্যাচে শেষের দিকে মরিয়া লড়াই লড়েছে ইস্টবেঙ্গল। গোটা ম্যাচে সেই তাগিদটা কোথায় ছিল? যুবভারতীর বাইরে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন ভক্তদের।
যার মূল নিশানায় কার্লেস কুয়াদ্রাত। যাঁকে সমর্থকরা ভালোবেসে নাম দিয়েছিলেন 'প্রফেসর'। তাঁর সেই তকমা বিপদের মুখে। সমর্থকরা আশা হারিয়েছেন তাঁকে নিয়ে। তাঁদের দাবি, গতবছর সুপার কাপের সাফল্য তুকতাকে লেগে গিয়েছে। কুয়াদ্রাতের উপর আস্থা রাখা ভুল হয়েছে। তার পরই ওঠে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান। তাঁদের বক্তব্য এই পরিস্থিতিতে, এত সমর্থনের পর ন্যায়বিচার প্রাপ্য ক্লাবের। এমনকী, আনোয়ার ইস্টবেঙ্গলে এসে ভুল করেছে বলেই মত সমর্থকদের।
সামনেই ডার্বি। সেখানে কী হবে? সেই ম্যাচ নিয়ে রীতিমতো 'ভীত' বলে দাবি অনেকের। কুয়াদ্রাত কী ভাবছেন? তার সামনেও যে এখন 'অগ্নিপরীক্ষা'!