ওড়িশা এফসি: ২ (ডেলগাডো, কৃষ্ণ)
মোহনবাগান: ১ (মনবীর)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইএসএলের (ISL 2024) সেমিফাইনালের প্রথম পর্ব থেকে হতাশ হয়েই ফিরতে হল মোহনবাগানকে। বিতর্কিত অ্যাওয়ে ম্যাচে সের্জিও লোবেরার ছেলেদের কাছে ২-১ গোলে হারতে হল সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে। ফলে দ্বিতীয় পর্বের সেমিফাইনালে নামার আগে চাপে পড়ে গেল হাবাস ব্রিগেড। ফাইনালে উঠতে হলে যুবভারতীতে অন্তত ২ গোলের ব্যবধানে জিততে হবে সবুজ-মেরুন শিবিরকে।
চলতি মরশুমে ওড়িশা সত্যিই মোহনবাগানের জন্য শক্ত গাঁট হয়ে উঠে এসেছে। আইএসএলের লিগ পর্বে এই ওড়িশাকে হারাতে পারেনি সবুজ-মেরুন শিবির। আবার এএফসি কাপে এই ওড়িশার বিরুদ্ধেই গোলের মালা পরতে হয়েছে। এদিনও লড়াইটা যে কঠিন হবে সেটা জানতেন সবুজ-মেরুন কোচ হাবাস। সেইমতো দলকে প্রস্তুতও করেছিলেন তিনি। শুরুটাও কিন্তু দুর্দান্ত হয়েছিল। আড়াই মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু সময় গড়াতেই ম্যাচ থেকে ক্রমশ যেন হারিয়ে যেতে থাকে সবুজ-মেরুন শিবির।
[আরও পড়ুন: ‘সাত দফায় সাত অঙ্গ ভাঙব বিজেপির’, দার্জিলিংয়ে হুঁশিয়ারি অভিষেকের]
ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan)। আড়াই মিনিটের মাথায় দিমিত্রির তোলা কর্নার কিক থেকে দুর্দান্ত হেডার মনবীরের। ওড়িশার জালে জড়িয়ে গেল বল। এক মুহূর্তে সবুজ-মেরুন সমর্থকরা ভেবেছিলেন এবার হয়তো ওড়িশার গাঁট কাটাতে পারবেন শুভাশিসরা। কিন্তু সেই স্বপ্নে ধাক্কাটা এল ম্যাচের ১১ মিনিটেই। ঠিক যেভাবে মোহনবাগান গোল করেছিল, অনেকটা সেভাবেই গোল করে সমতা ফেরালেন কার্লেস ডেলগাডো। সমতা ফেরানোর পর ওড়িশাই যেন ধীরে ধীরে প্রাধান্য বাড়ানো শুরু করে ম্যাচে। ফল মেলে ম্যাচের ৩৯ মিনিটে। এবার মোহনবাগানের একসময়ের ঘরের ছেলে রয় কৃষ্ণই যেন ভিলেন হয়ে উঠলেন সবুজ-মেরুন সমর্থকদের জন্য। কার্যত একাই হেক্টরকে কাটিয়ে সবুজ-মেরুনের জালে বল জড়িয়ে দিলেন কৃষ্ণ। পিছিয়ে পড়ল সবুজ-মেরুন।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধ সেভাবে জমল না। আক্রমণ প্রতিআক্রমণ হল বটে, কিন্তু কোনওপক্ষই সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না। উলটে ম্যাচের ৬৭ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড খেয়ে মাঠের বাইরে বেরিয়ে যেতে হল মোহনবাগানের সাদিকুকে। তবে একজন বাড়তি ফুটবলারের সুবিধাটা বেশিক্ষণ পেল না ওড়িশা। ৭৪ মিনিটে লালকার্ড খেলেন ওড়িশার ডেলগাডোও। দুই দলই নেমে যায় ১০ জনে। দুটি কার্ড নিয়েই বিতর্কের অবকাশ আছে। এর পরও শেষদিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল সবুজ-মেরুন শিবির। অনিরুদ্ধ থাপার গায়ে লেগে বল ওড়িশার ক্রসবারে লেগে ফিরে না এলে ম্যাচ ড্র করেই ফিরতে পারত সবুজ-মেরুন শিবির। কিন্তু বিধি বাম। এদিন হেরেই ফিরতে হল পেত্রাতোসদের।
[আরও পড়ুন: জঙ্গিদের টার্গেট! নিরাপত্তা বাড়ছে মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের]
আইএসএলের প্রথম সেমিফাইনালের প্রথম পর্ব যেন ঘাত-প্রতিঘাতের আদর্শ উদাহরণ। একদিকে দিমিত্রি পেত্রাতোস, অন্যদিকে রয় কৃষ্ণ, একদিকে হেক্টর ইউৎসে, অন্যদিকে কার্লোস ডেলগাডো। একদিকে অনবদ্য লড়াই, অন্যদিকে বিশ্রী ভুল। তিন গোল, জোড়া লালকার্ড, সব মিলিয়ে ভুবনেশ্বরের গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তেতে উঠেছিল কলিঙ্গ স্টেডিয়াম। সেই উত্তপ্ত ম্যাচে শেষ হাসিটা হাসলেন সের্জিও লোবেরা।