সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতে পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের (Imran Khan) লাহোরের বাড়িতে পৌঁছালেও। শেষ পর্যন্ত তাঁকে খুঁজেই পেল না পুলিশ। টুইট করে একথা জানানো হল ইসলামাবাদ পুলিশের তরফে। তোসাখানা দুর্নীতি মামলায় রবিবারই গ্রেপ্তার করা হবে ইমরানকে, এই মর্মে এসএসপিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন লাহোরের (Lahore) আইজিপি। সেই নির্দেশ মেনে লাহোরের জামান পার্কে ইমরানের বাড়িতে পৌঁছলেও খালি হাতেই ফিরল বিশাল পুলিশবাহিনী।
ইমরান গ্রেপ্তার হতে পারেন এই আশঙ্কায় নেতাকে বাঁচাতে সকাল থেকেই বাড়ি ঘিরে রেখেছিলেন কয়েক হাজার পিটিআই সমর্থক। পুলিশ ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করতেই তাঁদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। তাঁরা দাবি করেন, নেতাকে গ্রেপ্তার করার আগে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে হবে। সেই বাধা ডিঙিয়েই নেতাকে হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা চালায় পুলিশ। যদিও পরে পুলিশের তরফে জানানো হয়, বাড়ি ঘিরে ফেললেও ইমরানের খোঁজ মেলেনি।
[আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে রেকর্ড বরফ গলল দক্ষিণ মেরু সাগরে, বড় বিপদের আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা]
ইসলামাবাদ পুলিশ টুইট করে, “পুলিশের একটি দল আদালতের নির্দেশ মেনে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে লাহোরে পৌঁছেছিল। ইমরান আত্মসমর্পণ রাজি ছিলেন না। পুলিশ সুপার তাঁর ঘরে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে ইমরান ছিলেন না।” উল্লেখ্য, তোসাখানা মামলার শুনানি চলছে। সেই শুনানিতে সশরীরে হাজিরা দেননি পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী। এর জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারির পরোয়ানা জারি হয়। যদিও বাড়ি পৌঁছেও পুলিশ তাঁকে খুঁজে পেল না।
[আরও পড়ুন: সাগরে ব্রহ্মতেজ! সফল অত্যাধুনিক ‘ব্রহ্মস’ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা, আরও শক্তিশালী ভারত]
উল্লেখ্য, এদিনই শাহবাজকে ‘এসএস’ বলে উল্লেখ করে দু’টি অগ্নিগর্ভ টুইট করেন ইমরান। লেখেন, “এসএস-কে যখন ৮০০ কোটি টাকার তহবিল তছরুপ এবং ১৬০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করার প্রক্রিয়া চলছে, তখন তাঁকে বাঁচান এবং দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদে বসান জেনারেল বাজওয়া।” ইমরানের অভিযোগ, এর পর থেকে নিজের পিঠ বাঁচাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করছে এসএস। দেশে অরাজগতা চলছে বলেও আক্ষেপ করেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।