সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে প্রতিরোধ চলছে এবং চলবে। পঞ্জশিরে বিদ্রোহী বাহিনীর বিপর্যয় ঘটলেও তালিবানের (Taliban) বিরুদ্ধে লড়াই এখনও শেষ হয়নি। সেই বার্তা দিয়েই আশরফ ঘানি সরকারের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহর নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের ঘোষণা করল আফগানিস্তানের ইসলামিক প্রজাতন্ত্র।
[আরও পড়ুন: পেলেই খুন করবে! তালিবানের ভয়ে ঘরছাড়া আফগানিস্তানের মহিলা বিচারপতিরা]
খামা প্রেস সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, সুইজারল্যান্ডের আফগান দূতাবাস থেকে বুধবার এই নির্বাসিত সরকারের ঘোষণা করা হয়। কাবুল তালিবানের দখলে যাওয়ার পর পঞ্জশির উপত্যকায় নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের সঙ্গে জোট করে সালেহ তালিবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। এদিন নির্বাসিত আফগান সরকারের পক্ষে ঘোষণা করা হয়, নির্বাসিত সরকার পঞ্জশির উপত্যকায় আহমেদ মাসুদের তালিবান বিরোধী শক্তিকে সমর্থন করে। এবং একমাত্র এই সরকারই বৈধ। বর্তমানে আফগানিস্তান ‘বিদেশি শক্তির’ দখলে রয়েছে। প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানির দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশকে নেতৃত্ব দেবেন অমরুল্লা সালেহ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দ্রুত নিজস্ব আইনসভা, সংসদ ও বিচারবিভাগ গঠন করবে নির্বাসিত সরকার। তালিবানের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।
উল্লেখ্য, ভয়াবহ সংঘর্ষে রক্তাক্ত আফগানিস্তানে প্রতিরোধের শেষ গড় পঞ্জশির উপত্যকা (Panjshir Valley)। কয়েকদিন আগে সেখানে বিদ্রোহীদের ঘাঁটি দখল করে স্বঘোষিত ‘কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট’ আমরুল্লা সালেহর দাদা রুহুল্লা সালেহকে খুন করে তালিবান বলে সূত্রের খবর। কিন্তু তবুও লড়াই থামছে না। পাক বিমানবাহিনীর এবং তালিবানের হামলায় পঞ্জশির উপত্যকার জনবসতিগুলি হাতছাড়া হয়েছে আহমেদ মাসুদ ও সালেহর বিদ্রোহী বাহিনীর। তবে তাজিক যোদ্ধারা হিন্দুকুশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন বলে খবর। সেখান থেকে তালিবান বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘকালীন গেরিলা যুদ্ধও চালাতে পারেন তিনি। একই রণকৌশলে আশির দশকে সোভিয়েত সেনার মোকাবিলা করেছিলেন ‘সিনিয়র মাসুদ’।