সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত শুক্রবার সাময়িক যুদ্ধবিরতি শেষ হতেই ফের শুরু হয়ে গিয়েছে হামাস বনাম ইজরায়েল রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। স্থলভাগে অভিযান চালানোর পাশাপাশি হামাসের বিরুদ্ধে নেমেছে ইজরায়েলের নৌসেনাও। এবার গোটা গাজা ভূখণ্ড জুড়ে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে থাকা জঙ্গিদের সুড়ঙ্গ ধ্বংস করতে নতুন পন্থা নিল ইজরায়েলি সেনা। টানেলগুলোকে জলের তোড়ে ভাসিয়ে জেহাদিদের খতম করার পথে এগোচ্ছে ইহুদি দেশটি।
রয়টার্স সূত্রে খবর, সোমবার মার্কিন সংবাদপত্র ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ই নাকি উত্তর গাজার আল-শাতি শরণার্থী শিবিরের কয়েক কিলোমিটার উত্তরে বড় বড় পাঁচটি পাম্প বসিয়েছে ইজরায়েল বাহিনী। যে পাম্পগুলোর মাধ্যমে ঘণ্টায় কয়েক হাজার কিউবিক মিটার জল বের হয়। রিপোর্ট মোতাবেক, প্রথমে হামাসের সুড়ঙ্গগুলোকে (Tunnel) চিহ্নিত করা হবে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সমুদ্রের জল হামাসের (Hamas) সুড়ঙ্গগুলোতে জল ঢোকানো হবে। পাম্পের সাহায্যে প্লাবিত করা হবে জঙ্গিদের মাটির নিচের ডেরা।
[আরও পড়ুন: ফের বন্দুকবাজের তাণ্ডব আমেরিকায়, পুলিশ পৌঁছতেই ভয়ংকর বিস্ফোরণে উড়ল বাড়ি!]
তবে এক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যতদিন না সমস্ত পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে ততদিন কি জঙ্গিদের নিঃশেষ করতে এই পন্থা অবলম্বন করবে ইজরায়েল (Israel)? কারণ হামাস আগেই জানিয়েছিল, বন্দিদের সুরক্ষিত জায়গা ও টানেলে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলের তরফে কিছু জানানো হয়নি। নতুন এই কৌশল সম্পর্কে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী অস্বীকার করলেও তারা জানিয়েছে, বিভিন্ন সামরিক উপায়ে হামাস জঙ্গিদের নিধন করা হচ্ছে।
বলে রাখা ভালো, গাজার ভূখণ্ডে মাটির ৮০ মিটার নিচে ছড়িয়ে রয়েছে হামাসের টানেল নেটওয়ার্ক, যার ব্যাপ্তি কয়েকশো কিলোমিটার। ওই সব সুড়ঙ্গের ভিতরে রয়েছে বাঙ্কার, হাতিয়ার ভাণ্ডার থেকে শুরু করে নানা ধরনের ফাঁদও। গাজার হাসপাতাল, মসজিদ, স্কুলের নিচে হদিশ মিলেছিল ‘দ্য মেট্রো’বা হামাসের সুড়ঙ্গ জালের। মাটির নিচের এই ডেরা থেকে বিভিন্ন হামাসের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ তুলেছে ইজরায়েল। এর আগে উত্তর গাজায় মাটির নিচে হামাসের ডেরা বিস্ফোরক ভরে উড়িয়ে দিয়েছিল ইজরায়েলি ফৌজ।