সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার তেল আভিভ দাবি করেছে, হামাস জঙ্গিদের নিকেশ করতে গাজা শহরের কেন্দ্রস্থলে ঢুকে পড়েছে ইজরায়েলি সেনা। এবার তারা জানাল, হামাসের অস্ত্র প্রস্তুকারকদের প্রধান মহসিন আবু জিনাকে খতম করেছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। যদিও ইজরায়েলের কাছে জি সেভেন গোষ্ঠীর অনুরোধ, মানবিকতা এবং মানবাধিকার-এর কারণে অবিলম্বে তাদের উচিত গাজায় হামলা চালানো বন্ধ করা।
এক মাস পার হয়ে গিয়েছে হামাস বনাম ইজরায়েলের লড়াইয়ের। তবে যুদ্ধ থামার কোনও ইঙ্গিতই মেলেনি কোনও তরফে। তেল আভিভের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ৩ লক্ষ ৩০ হাজারের বেশি ইজরায়েলি দেশে ফিরে এসেছেন শুধুমাত্র হামাসের বিরুদ্ধে তাদের ‘অপারেশন আয়রন সোর্ডস’-এ যোগ দিতে। এবার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মাটির নিচে থাকা হামাসের গোপন সুড়ঙ্গগুলোতে হামলা চালানো হচ্ছে। গত ২৭ অক্টোবর থেকে গাজা ভূখণ্ডে ঢুকে অভিযান চালাচ্ছে ইজরায়েল (Israel)। ইতিধ্যেই গাজার (Gaza) উত্তরদিকে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটিতে আক্রমণ হয়েছে। ধবংসস্তূপে পরিণত করা হয়েছে হামাসের ডেরা। গাজায় কয়েকশো কিলোমিটার জুড়ে বিছিয়ে থাকা এই সুড়ঙ্গগুলো ধ্বংস করতে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশেষ ধরনের বিস্ফোরক।
[আরও পড়ুন: জেরুজালেমে মহিলা ইজরায়েলি পুলিশকর্মীকে কুপিয়ে খুন প্যালেস্তিনীয় কিশোরের]
এদিকে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়লেও এখনই যুদ্ধবিরতিতে রাজি নন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তাঁর সাফ কথা, ততদিন পর্যন্ত গাজায় জ্বালানি সরবরাহ করা হবে না, যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হবে না, যত দিন না প্যালিস্তিনীয় জঙ্গিদের হাতে আটক ২৪০ জন ইজরায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। তবে নেতানিয়াহুর গাজা পুনর্দখলের এই কৌশলকে ভালোভাবে দেখছে না আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের দাবি, “গাজা পুনর্দখল ইজরায়েলের মানুষের জন্য ভালো হবে না।” তবে ইজরায়েলের প্রশাসন জানিয়েছে, ১৪ হাজারের বেশি হামাসের গোপন ঘাঁটিকেই নিশানা করছে তারা।