সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে গাজায় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধের দাবি আরও জোরাল হচ্ছে। চাপ বাড়ছে ইজরায়েলের উপর। কিন্তু তাতেও দমছেন না সেদেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গাজায় মৃত্যুমিছিল নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে 'বন্ধু' আমেরিকাও। কয়েকদিন আগেই তেল আভিভকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল ওয়াশিংটন। কিন্তু তাতে খুব একটা আমল দেয়নি ইহুদি দেশটি। এই পরিস্থিতিতে এবার খবর, খুব শীঘ্রই নাকি আমেরিকায় যাচ্ছেন নেতানিয়াহু। ভাষণ রাখবেন মার্কিন কংগ্রেসে!
গত আট মাস ধরে হামাস নিধনে গোটা গাজা ভূখণ্ড গুঁড়িয়ে দিচ্ছে ইজরায়েলি ফৌজ। উত্তর থেকে দক্ষিণ হামলা চলছে সর্বত্র। তেল আভিভের মিসাইল হানা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না শিক্ষাক্ষেত্র, হাসপাতাল, শরণার্থী শিবির কোনও কিছুই। কারণ ইজরায়েলের দাবি সেখানেই ঘাঁটি রয়েছে হামাসের। বৃহস্পতিবার গাজায় রাষ্ট্রসংঘ পরিচালিত স্কুলে ইজরায়েলি বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারান ৩০ জন। আর এদিনই মার্কিন আইনপ্রণেতারা ঘোষণা করেন আমেরিকায় যাচ্ছেন নেতানিয়াহু। আগামী ২৪ জুলাই তিনি ভাষণ রাখবেন মার্কিন কংগ্রেসে। এমনটাই খবর সংবাদ সংস্থা এপি সূত্রে। এই যুদ্ধ আবহে বিদেশের মাটিতে তাঁর বক্তব্য নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আন্তর্জাতিক মহলে নানা জল্পনা শুরু হয়েছে। যুদ্ধের মাঝে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর মার্কিন সফর নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আগামী ২৪ জুলাই কি তাহলে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইতিবাচক কিছু বলবেন তিনি? আমেরিকার চাপেই কি তাহলে থামবে মৃত্যুমিছিল? চলতি বছরের গোড়া থেকেই প্যালেস্তিনীয়দের 'শেষ আশ্রয়' রাফাতে হামলা চালানো নিয়ে ইজরায়েলকে সতর্ক করেছিল হোয়াইট হাউস। কিন্তু তাতে খুব একটা গুরুত্ব দেননি নেতানিয়াহু। যা নিয়ে তাঁর সঙ্গে মনমানিল্য হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মাস দেড়েক কথা বন্ধ ছিল দুজনের মধ্যে। এর মাঝেই রাফায় অভিযান শুরু করে ইজরায়েল। যার ফলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয় আমেরিকা। কিন্তু তাতেও খুব একটা কিছু লাভ হয়নি। রাফায় অভিযান বজায় রেখেছে ইজরায়েলি বাহিনী।
[আরও পড়ুন: গাজায় রাষ্ট্রসংঘের স্কুলে হামাসের ডেরা! মিসাইল হানা ইজরায়েলের, মৃত অন্তত ৩০]
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার একাধিক মিসাইল আছড়ে পড়ে গাজার স্কুলটিতে। তেল আভিভের অভিযোগ, ওই স্কুলে হামাসের ঘাঁটি রয়েছে। ২০ থেকে ৩০ জন জঙ্গি ওই স্কুলে লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর ছিল ইজরায়েলের গোয়েন্দাদের কাছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই নির্দিষ্ট একটি এলাকাকে নিশানা করে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি নেতানিয়াহু প্রশাসনের। ইজরায়েলি সেনার মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানান, ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে এই হামলায়। তার মধ্যে ৯জন হামাস জঙ্গিকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা গিয়েছে। তবে সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়নি বলেই তাঁর দাবি।