সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এখনই শেষ নয়। অপারেশন চলবে। এর শেষ দেখে ছাড়ব।’ ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সপ্তম দিনে দাঁড়িয়ে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু (Israel PM Netanyahu)। একইসঙ্গে চলতে থাকা অশান্তির জন্য প্যালেস্তাইনের জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসকে দুষলেন তিনি।
রবিবারই দুই দেশের সংঘর্ষ সপ্তম দিনে পা দিল। প্রতিদিনই চলছে রকেট হানা। রক্তপাতের দৃশ্যে শিউরে উঠছে গোটা বিশ্ব। সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টাও চালাচ্ছেন বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনায়করা। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করতে রাজি নয় দু’পক্ষই। এদিন ইজরায়েলের এয়ার স্ট্রাইকে গুড়িয়ে গিয়েছে গাজার হামাস প্রধানের আস্তানা। অন্তত চারজন প্যালেস্তাইন নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। জখম বহু। সে দেশের স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গাজার উপকূলবর্তী এলাকা। তারপরই আর্ত চিৎকার আর রক্তে ছেয়ে যায় গোটা এলাকা। তেল আভিভকে লক্ষ্য করে পালটা রকেট হানা চালায় হামাস গোষ্ঠীও।
[আরও পড়ুন: গাজায় ইজরায়েলি বিমান হানায় গুঁড়িয়ে গেল একাধিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের অফিস]
সাইরেনের সংকেত পেতেই বাঙ্কারে লুকোতে ছুটেছিলেন তেল আভিভ শহরের বাসিন্দারা। প্রাণ ভয়ে দৌড়ে বাঙ্কারে আশ্রয় নেওয়ার সময় তাঁদের উপর আছড়ে পড়ে রকেট। সূত্রের খবর, হামাসের হামলায় জখম হয়েছেন ১০ জন। উল্লেখ্য, গত ৭ দিনের অশান্তিতে গাজায় প্রাণ গিয়েছে ১৪৯ জন প্যালেস্তিনীয়র। যাঁদের মধ্যে ৪১ জন শিশু। ইজরায়েলে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ২ জন শিশু রয়েছে।
এত প্রাণহানির পর এখানেই থামছে না ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের সংঘর্ষ। এদিন সে কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু। তাঁর কথায়, “আমরা হামলা শুরু করিনি। যাঁরা এই অশান্তি শুরু করেছে দোষী তাঁরা। আমরা অপারেশনের মাঝে আছি। এটা এখনও শেষ হয়নি। যতদিন দরকার এই অশান্তি চলবে। শেষ দেখে ছাড়ব।” নেতানিয়াহুর আরও দাবি, “হামাস বরাবর নাগরিকদের আড়ালে লুকিয়ে নাগরিকদের ক্ষতি করতে চায়। আমরা যত কম সংখ্যক নাগরিকদরে ক্ষতি হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। সরাসরি জঙ্গিদের ঘাঁটিতে হামলা করছি।”