সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর পর থেকেই আলোচনায় উঠে আসছে ইজরায়েলের নাম। গোটা ঘটনায় তেল আভিভের হাত আছে কিনা, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে বিতর্কের মধ্যে মুখ খুলেছে ইজরায়েল। কপ্টার দুর্ঘটনায় আদৌ সেদেশের কোনও ভূমিকা রয়েছে কিনা, সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন ইজরায়েলি আধিকারিক।
রবিবার হেলিকপ্টার ভেঙে মাত্র ৬৩ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে ইব্রাহিম রাইসির (Ebrahim Raisi)। কট্টর ইজরায়েল বিরোধী হিসাবেই আজীবন পরিচিত ছিলেন রাইসি। গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস-ইজরায়েল সংঘাতের পর থেকে আরও বেড়েছিল সেই বিরোধিতা। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংঘাত। বেশ কয়েকবার আঘাত-প্রত্যাঘাত চালিয়ে যায় দুই দেশ। সংঘাত খানিকটা থিতিয়ে যাওয়ার পরেই হেলিকপ্টার ভেঙে পড়ে রাইসির মৃত্যু। সেই জন্যই কপ্টার দুর্ঘটনার নেপথ্যে ইজরায়েলের (Israel) ভূমিকা রয়েছে কিনা, শুরু হয় সেই জল্পনা।
[আরও পড়ুন: জোর করে ফেরানো হচ্ছে দেশে, কানাডায় বিপাকে ভারতীয় পড়ুয়ারা]
রাইসির কপ্টার দুর্ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই এই নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য ইকোনমিস্ট। সেখানে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ইরানে সক্রিয় রয়েছে ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। তেহরানের মদতপুষ্ট জঙ্গিদের নিকেশ করতেও তারা সিদ্ধহস্ত। নিখুঁতভাবে অপারেশন চালিয়ে ইজরায়েলের ‘শত্রু’দেরও হঠিয়েছে মোসাদ। কিন্তু ইরানের (Iran) রাষ্ট্রপ্রধানকে টার্গেট করবে মোসাদ, সেই সম্ভাবনা খুবই কম বলে মত ছিল বিশেষজ্ঞ মহলের। কারণ কোনও দেশের প্রধানকে খুন করা সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণার সমকক্ষ।
আন্তর্জাতিক মহলে প্রবল বিতর্কের মধ্যেই রাইসির দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছে ইজরায়েল। সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আধিকারিক সাফ জানিয়েছেন যে ইরানের প্রেসিডেন্টের কপ্টার ভাঙার নেপথ্যে ইজরায়েলের কোনও ভূমিকা নেই। তবে কপ্টার ভেঙে পড়ার ঘটনায় ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ইরান।