সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একবার অশান্তি বাড়ল ইজরায়েল-প্যালেস্তাইনের মধ্যে। গত তিনদিন ধরেই ইজরায়েলের (Israel) দক্ষিণ অংশকে উদ্দেশ করে বিস্ফোরক বোঝাই বেলুন ওড়াচ্ছিল প্যালেস্তাইনের (Palestine) হামাস জঙ্গিগোষ্ঠী। তারই জবাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফের দফায় দফায় গাজা স্ট্রিপে এয়ারস্ট্রাইক শুরু করেছে ইজরায়েল। আর এর ফলেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে ওই অঞ্চলে।
১১ দিন ধরে বিধ্বংসী লড়াইয়ের পর গত ২১ মে সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছিল ইজরায়েল ও প্যালেস্তাইন। কিন্তু চলতি সপ্তাহ থেকেই নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে দু’দেশের মধ্যে। সেদেশের সেনার তরফে জানানো হয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে দক্ষিণ ইজরায়েলে বিস্ফোরক বোঝাই বেলুন দিয়ে হামলা চালাচ্ছে হামাস জঙ্গিরা। গাজা থেকে উড়ে আসা ওই বেলুন থেকে ইজরায়েলের একাধিক জায়গায় ক্ষতি হয়েছে। আর তারই জবাবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে পুনরায় গাজা স্ট্রিপে বিমান হামলা চালিয়েছে তারা। মূলত গাজা সিটি এবং গাজার দক্ষিণের শহর খান ইউনিসে লাগাতার বোমাবর্ষণ করেছে ইজরায়েলী যুদ্ধবিমানগুলি। পালটা আবার ইজরায়েলের উদ্দেশে বড় বড় মেশিনগান থেকে গুলি বর্ষণ করতে শুরু করে হামাস জঙ্গিগোষ্ঠীরাও। ফলে বর্তমানে পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে গিয়েছে, যে ফের একবার ইজরায়েলী সেনাকে যেকোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি থাকতে বলেছে সেদেশের প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: খুনের রাজনীতি জুন্টার, জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে মায়ানমারের গ্রাম]
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, ইজরায়েলে নেতানিয়াহু সরকারের পতনের পর এটা প্যালেস্তাইনের উপর ইজরায়েলের দ্বিতীয় বিমান হামলা। দু’বছরে চারবার নির্বাচন এবং দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েন কাটিয়ে বারো বছর পরে সদ্য ইজরায়েলের মসনদে বসেছে নতুন সরকার। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে হারিয়ে সবে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নাফতালি বেনেট (Naftali Bennett)। আর ক্ষমতায় এসেই ‘March of the Flags’ বা জাতীয়তাবাদী মিছিলের অনুমতি দেন তিনি। গত মঙ্গলবার পূর্ব জেরুজালেম-সহ প্যালেস্তাইনের অধিকৃত ভূখণ্ডে অনুষ্ঠিত ইহুদি দক্ষিণপন্থীদের ওই মিছিলের পর থেকেই উত্তপ্ত ইজরায়েল। উল্লেখ্য, গত মে মাসে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায়ের অনুগামীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। তারপর তা ক্রমে ভয়াবহ আকার নেয়। রমজানের নমাজ পড়তে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার মুসলমান। সেখান থেকেই সংঘাতের সূত্রপাত। তারপর প্রায় ১১ দিন ধরে হামাস ও ইজরায়েলী সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ হয়। অবশেষে মিশরের হস্তক্ষেপে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল যুযুধান দুই পক্ষ। কিন্তু সেটা আর টিকবে কিনা সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।