সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামাস-ইজরায়েল সংঘর্ষ শুরুর পর কেটে গিয়েছে এক মাসেরও বেশি সময়। এই ৩৫দিনে বার বার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব নাকচ করেছে ইজরায়েলি সরকার। এবার গাজাবাসীর স্বার্থে কিছুটা সুর নরম করল ইজরায়েল। উত্তর গাজায় রোজ ঘণ্টা চারেকের জন্য অভিযান বন্ধ রাখতে রাজি হয়েছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স। ওই সময়ের মধ্যে গাজাবাসীরা ‘মানবাধিকার করিডর’ দিয়ে পালিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেমন যেতে পারবেন, তেমনই বন্দিদের মুক্তির জন্যও ওই সময়টুকু ব্যবহার করা যাবে।
ইজরায়েলের (Israel) এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি। এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘ইজরায়েল সেনার এই সিদ্ধান্ত প্রথম হলেও তাৎপর্যপূর্ণ।’’ তবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, চার ঘণ্টার এই সময়সীমাকে যুদ্ধবিরতি ভাবলে ভুল হবে। হামাসের বিরুদ্ধে ইজরায়েলের লড়াইয়ে কোনও ছেদ পড়বে না। চার ঘণ্টার ওই সময়টুকু শুধুই গাজার নিরীহ, অসামরিক সাধারণ মানুষের জন্য। তা-ও আবার একটি নির্দিষ্ট জায়গায় এবং নির্দিষ্ট মেয়াদের জন্য।
[আরও পড়ুন: কার হাতে থাকবে গাজা? ইজরায়েলকে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা ‘বন্ধু’ আমেরিকার]
এনিয়ে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ‘‘হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াই যেমন চলছে, চলবে। কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্র থেকে যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে, গাজার বাসিন্দারা চলে যেতে পারেন, তাই শুধুমাত্র তাঁদের কথা ভেবে কিছুটা সময় দেওয়া হয়েছে।’’ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর ইজরায়েল কোনওভাবেই গাজা দখল বা নিয়ন্ত্রণ করার দাবি জানাবে না। এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কোনও মতবিরোধ হয়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এরই মধ্যে জানা গিয়েছে, হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পাশাপাশি আইডিএফ সিরিয়াতেও আকাশপথে হামলা করেছে। ইজরায়েলি সেনার দাবি, দক্ষিণ ইজরায়েলের শহর, এলাতের একটি স্কুলে সিরিয়ার সেনার তরফে ড্রোন হামলা করা হয়। ওই স্কুলে ৪০ জন ছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে প্রাণহানির কোনও খবর নেই। অন্যদিকে, ইজরায়েলি আক্রমণে হাজার হাজার প্যালেস্তিনীয়র মৃত্যুর প্রতিবাদে আমেরিকার ম্যানহ্যাটনে নিউ ইয়র্ক টাইমসের অফিসে ঢুকে ধুন্ধুমার বাঁধান একদল মানবাধিকার কর্মী। তাঁদের হাতে ছিল প্যালেস্তাইনের পতাকা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ইজরায়েলি হানায় মৃতদের মধ্যে ছিলেন ৩৬ জন সাংবাদিকও। নিজেদের ‘রাইটার্স ব্লক’-এর সদস্য বলে দাবি করে তাঁরা স্লোগান দেন, ‘‘আমরাই আমাদের সহকর্মীদের মেরে ফেলেছি।’’