সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয়… নারকীয় দুর্ভোগের শিকার হয় আমজনতা। ইজরায়েলে (Israel) হামাস গোষ্ঠীর হামলার পর দুপক্ষের লড়াইয়ে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার মানুষের। আহত অসংখ্য। ঘর ছেড়ে শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ। যুদ্ধবাজরা রেয়াত করছে না শিশু ও মহিলাদের। ইজরায়েলের তেমনই এক অসহায় মা ও শিশুর অভিনব উপায়ে প্রাণে বাঁচানোর ঘটনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে ভাইরাল হয়েছে। যা জেনে একই সঙ্গে অবাক হচ্ছে এবং শিউরে উঠছে গোটা বিশ্ব।
ঘটনাটি ইজরায়েলের সীমান্তের নির ওজ এলাকার। ইরিত লাহাব নামের ওই তরুণী সিএনএনকে জানিয়েছেন, গত শনিবার হামাস জঙ্গিরা ঢুকে পড়েছিল এলাকায়। একথা বোঝমাত্র শিশুকন্যাকে নিয়ে স্থানীয় সেফরুমে ছুটে যান তিনি। দেশে নিয়মিত যুদ্ধ লেগে থাকায় এমন সেফরুম রয়েছে প্রতি এলাকাতেই। কিন্তু বেশ কয়েক বছরের অব্যবহারে ভাঙা ছিল ‘আশ্রয়কক্ষে’র দরজার লক। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না ইরিত। কারণ ততক্ষণে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে সেফরুমের দিকে এগিয়ে আসছিল হামাস জঙ্গিরা।
[আরও পড়ুন: প্যালেস্টাইন ইস্যুতে ‘শত্রু’ ইরানের পাশে সৌদি আরব, নেপথ্যে কোন সমীকরণ?]
একটা সময় হামাস জঙ্গিরা হামলা চালায় সেফরুমে। এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য তৈরি পুরু স্টিলের দরজা এবং কংক্রিটের দেওয়াল গুলিবিদ্ধ হতে দেয়নি মা ও শিশুকে। কিন্তু দরজা খুলে যাওয়ার ভয় ছিলই। সেটিকে ভাঙার চেষ্টাও করে জঙ্গিরা। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়ে ফিরে যায়। ইরিত জানিয়েছেন, প্রায় ১২ ঘণ্টা খাওয়া, ঘুম ছাড়া সেফরুমে কাটান তিনি ও তাঁর শিশুকন্যা।
[আরও পড়ুন: ‘সহানুভূতি নয়, অধিকারের সঙ্গে ফিরুক শান্তি …’ বলছেন প্যালেস্টাইনের ভূমিপুত্ররা]
ইরিত লাহাবের কথায়, “তখন চারিদিকে শুধু গুলিগোলার আওয়াজ। ভাবছিলাম কী করব? কীভাবে সেফরুমের দরজা আটকাব?” যদিও এযাত্রায় বেঁচে গিয়েছেন তিনি। কিন্তু যুদ্ধবিধ্বস্ত ইজরায়েল ও প্যালেস্টাইনের বহু মানুষ এতখানি ভাগ্যবান নন। তাই বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। হয়তো নেপথ্যে বাজছে করুণ আবহসংগীত- “কত হাজার মরলে তবে মানবে তুমি শেষে/ বড্ড বেশি মানুষ গেছে বানের জলে ভেসে।”