সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলের কূটনীতিকের উপর হামলা চিনে। ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই আধিকারিক। এই ঘটনায় বেজিংয়ের নিন্দায় সরব হয়েছে ইহুদি দেশটির সরকার। একই সঙ্গে যুদ্ধ আবহে সংশয় দেখা দিয়েছে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ইজরায়েলি ও ইহুদিদের নিরাপত্তা নিয়ে।
টাইমস অফ ইজরায়েল সূত্রে খবর, শুক্রবার ইজরায়েলের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, চিনে (China) ইজরায়েলের কূটনীতিককে ছুরি মারা হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে কী কারণে ওই কূটনীতিকের উপর হামলা চালানো হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাও স্পষ্ট নয়। এই মুহূর্তে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের হামলায় রক্তাক্ত ইজরায়েল। এই পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা ইজরায়েলি ও ইহুদিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: হামাসের ডেরা থেকে উদ্ধার ২৫০ পণবন্দি, নায়ক ইজরায়েলের লড়াকু ‘শায়েতেত ১৩’]
এই যুদ্ধ আবহে চিনের অবস্থান নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছেন ইজরায়েলের রাষ্ট্রদূত। মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে জেরুজালেমের সম্পর্ক বরাবরই উত্তপ্ত। তাই এই রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে প্যালেস্টাইনের পক্ষে রয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি। এখনও পর্যন্ত সুন্নি জঙ্গি গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধেও মুখ খুলতে দেখা যায়নি জিনপিং প্রশাসনকে। যা ‘অত্যন্ত হতাশাজনক’ বলে ব্যাখ্যা করেছে ইহুদিভূম। প্রশ্ন উঠছে চিনে বসবাসরত ইজরায়েলি ও ইহুদিদের নিরাপত্তা নিয়ে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার ইজরায়েলের (Israel) বুকে বেনজির হামলা চালায় হামাস। তার পরই যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় হামাসের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ইজরায়েল। গত সাতদিন রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্য। ইতিমধ্যে এই সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন তিন হাজারের উপর মানুষ। এর মধ্যেই তেল আভিভের সাহায্যে যুদ্ধবিমান ও রণতরী পাঠিয়ে দিয়েছে আমেরিকা। সামরিক সাহায্য পাঠাচ্ছে ব্রিটেনও।