শেখর চন্দ, আসানসোল: ২০ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশিই সার। আসানসোলের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলির বাড়ি থেকে শূন্য হাতেই বেরলেন আয়কর আধিকারিকরা। জানা গিয়েছে, রাত ১২টা নাগাদ শেষ হয় তল্লাশি। তবে এখনও ওই এলাকা ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আহমেদ খান ও ইমতিয়াজের হিসাবরক্ষক পঙ্কজ আগরওয়াল, শিল্পপতি মহেন্দ্র শর্মার বাড়িতে চলছে আয়কর তল্লাশি।
হীরাপুরের শেখ আলির ছেলে সোহরাব আলি। শেখ আলি পেশায় গাড়িচালক হলেও তাঁর মূল ব্যবসা ছিল লোহার। সেই সূত্র ধরেই সোহরাব আলির লোহার কারবারে নামেন। অভিযোগ, লোহার ব্যবসার আড়ালে সোহরাব আলি নানা অসাধু কাজ করতেন। বার বার ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন তিনি। লোকসভা ভোটে কখনও নির্দল প্রার্থী আবার কখনও লালুপ্রসাদের হাত ধরে আরজেডিতে নাম লিখিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। আবার পুরভোটে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়ে সিপিএমের তাহের হুসেনকে হারান। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া পরে আরএসপিতে যোগদান। আবার হাওয়া বুঝে তৃণমূলকে সমর্থনও করেন তিনি। ২০১১ সালে তৃণমূলের প্রার্থী হয়ে রানিগঞ্জের বিধায়ক হন।
[আরও পড়ুন: মুক্তারাম বদলে গলিপথ এবার শিবরামের নামে, জন্মদিনে লেখককে উপহার কলকাতা পুরসভার]
বর্ণময় রাজনৈতিক চরিত্র সোহরাবের। ১৯৯৫ সালে আসানসোল আরপিএফের দায়ের করা রেল ওয়াগনে লোহা চুরির একটি মামলায় শুনানি চলছিল ২০১৫ সাল পর্যন্ত। আসানসোল রেল পুলিশের পশ্চিম শাখা কেস নম্বর ৫২২/৯৫ এর সেকশন ৩এ আরপিইউপিতে লোহা চুরির মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে বিধায়ক থাকাকালীন ওই মামলায় তিনি সাজাপ্রাপ্ত হন। একদিনের জেল হয়। ওইদিনই জামিনে মুক্ত হন।
২০১৬ সালে সোহরাব আলি রানিগঞ্জ থেকে তৃণমূলের টিকিট পাননি। পরিবর্তে সোহরাবের স্ত্রী নার্গিস বানোকে টিকিট দেওয়া হয়। তিনি ভোটে হেরে যান। পরে নার্গিস বানো আসানসোল পুরোনিগমের ভোটে লড়াই করেন। বর্তমানে ৮২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নার্গিস। সম্প্রতি প্রোমোটিং ব্যবসায় নাম লেখান সোহরাব।