সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশকে রক্ষা করতে পরিবার ছেড়ে দিনরাত সতর্ক হয়ে সীমান্ত পাহারা দেয় ভারতীয় সেনা (Indian Army)। শত্রুদের আক্রমণের আঁচ যেন মাতৃভূমির উপরে না পড়ে, তার জন্য প্রানপাত করেন জওয়ানরা। তাঁদের আত্মত্যাগের কথা কিছুটা শোনা গেলেও আড়ালে রয়ে যায় ভারতীয় সেনার পশুবাহিনীর কথা। প্রবল ঠাণ্ডা, পাহাড়ের দুর্গম রাস্তায় নিয়মিত ভাবে সেনার কাছে দৈনন্দিন সামগ্রী পৌঁছে দিতে এরাই ভরসা। তবে কঠোর পরিশ্রমের স্বীকৃতি পেতে চলেছে ভারতীয় সেনার ইয়াক ‘বাহুবলী’ ও ঘোড়া ‘মধু’। তাদের পুরস্কার হিসাবে মেডেল দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
ভারত-তিব্বত সীমান্ত পুলিশের (ITBP) তরফে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে প্রায় ৬০ হাজার কেজি ওজনের ভার বহন করেছে মধু। তার বয়স ১০ বছর। গত সাত বছর ধরে ভারতীয় সেনার কাছে নানা ধরনের সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে সে। লাদাখের ভারত-চিন সীমান্তেই কাজ করছে সে। মেডেল পাওয়া আরেক সদস্য বাহুবলীও সাত বছর ধরেই সেনার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে তার কার্যকালে। মোট সাত হাজার কেজি ওজনের সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার কাজ করেছে দশ বছর বয়সি এই ইয়াক।
[আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আসবেন! সেতু দুর্ঘটনায় আহতদের ফেলে মেরামতিতে ব্যস্ত মোরবির সরকারি হাসপাতাল]
অ্যানিমাল ট্রান্সপোর্ট উইংয়ের সদস্যদের প্রতিবছরই মেডেল দিয়ে সম্মান জানানো হয়। আইটিবিপির এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পশুবাহিনীর যে সমস্ত সদস্যরা নিজেদের কর্মজীবনে অসাধারণভাবে কাজ করেছেন বা সবচেয়ে দুর্গম জায়গায় কষ্ট করে সীমান্তে পৌঁছেছে, তাদেরকেই মেডেল দেওয়া হয়। সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী, গত এক বছরে মোট তিরিশ লক্ষ কেজি মাল বহন করেছে এই পশু বাহিনীর সদস্যরা। চার লক্ষ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়েছে তারা।
সীমান্তে কর্মরত জওয়ানদের কাছে খাদ্য, জ্বালানি, অস্ত্র-সহ নানা ধরনের জিনিস পৌঁছে দেয় এই পশুবাহিনী। লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আট হাজার থেকে ষোলো হাজার ফুট উচ্চতায় মূলত কাজ করে এই পশু বাহিনী। তবে অপেক্ষাকৃত নীচু উচ্চতায় কাজ করে ঘোড়ারা। পনেরো হাজার ফিটের উপরে কাজে লাগানো হয় ইয়াক বাহিনীকে। ২০১৬ সাল থেকে পশু বাহিনীর জন্য এই মেডেল দেওয়ার রীতি শুরু করে ভারত-তিব্বত সীমান্ত বাহিনী।