সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসপাতালে ‘দালাল চক্রে’র প্রতিবাদ করায় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল কামারহাটি এলাকায়। সাগর দত্ত হাসপাতালে ‘দালাল চক্রে’র রমরমার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। এরপরই তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হল। যা দেখে ওয়াকিবহলের মহলের ধারনা, সরাসরি চ্যালেঞ্জ করা হল মদন মিত্রকেই। এরপরই আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এলাকার সকল কাউন্সিলরকে নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ জানাতে যাবেন বলে ঘোষণা করলেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী। তাঁর কথায়, “দালালদের পিছনে কেষ্ট-বিষ্টুরা রয়েছে! পশ্চিমবঙ্গে একটা র্যাকেট চলছে। রাতের অন্ধকারে ঘুরপথে টাকা রোজগার করছে।” এই মন্তব্যে কার দিকে ইঙ্গিত করলেন তৃণমূল বিধায়ক, উঠছে প্রশ্ন।
কামারহাটি সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা অসুস্থ রমেশ হালদারকে শুক্রবার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা। চিকিৎসক রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। এরপরই এক দালালের ফাঁদে পড়েন রোগীর পরিবার। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ায় তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই মৃতের ছেলে গোটা ঘটনা জানায় বিধায়ক মদন মিত্রকে। রাতেই হাসপাতালে যান তিনি। হুঁশিয়ারি দিয়ে এসেছিলেন, “যে দালালের জন্য রোগীর মৃত্যু হল তার নাম, ছবি পেয়েছি। আমি কথা দিয়ে গেলাম এটাই সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শেষ দালালরাজ।” এরপরই কামারহাটিতে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুরের সময় দুষ্কৃতীরা হুঁশিয়ারি দেয়, “দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সরব হবি? তোর পরিবার, স্ত্রীকে দেখে নেব।” এমনই দাবি করেছেন তৃণমূল বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: সোশাল মিডিয়ায় বন্ধুত্বের ফাঁদ, চিকিৎসককে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী]
এর পরই পালটা মদন মিত্রের হুঁশিয়ারি, “কলকাতা পুলিশ একের পর এক দালালকে গ্রেপ্তার করছে। কিন্তু কামারহাটির পুলিশের কাছে দুষ্কৃতীদের নামের তালিকা থাকা সত্ত্বেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না। কাল এলাকার সব কাউন্সিরকে নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে যাব।” এর পরই তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, “দালালদের পিছনে কেষ্ট-বিষ্টুরা রয়েছে! পশ্চিমবঙ্গে একটা র্যাকেট চলছে। রাতের অন্ধকারে ঘুরপথে টাকা রোজগার করছে।” যদিও তৃণমূলের রাজ্য় সাধারণ সম্পাদ তথা দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “দালাল চক্র ভেঙে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসন যত স্বচ্ছ হচ্ছে তত দালাল চক্র নির্মূল হচ্ছে। তার পরেও যদিও কোথাও থেকে থাকে তাহলে প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেবে।”