সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্পোরেট জগতে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে দিনরাত চলছে ইঁদুরদৌড়। ঘুম ভাঙা থেকে ঘুমোতে যাওয়া পর্যন্ত শুধু কাজ আর কাজ। বেসরকারি সংস্থায় কর্মরতদের দশটা-পাঁচটার ডিউটি থাকে না। পরিবর্তে অফিসে গিয়ে কাজের পাহাড় সামলে বাড়ি ফেরার সময়েরও কোনও ঠিকঠিকানা থাকে না। এত ঝক্কি সামলে বাড়ি ফিরেও কিন্তু শান্তি নেই। হাজারও কাজ সামলে বাড়ি ফেরার পর হয় বসের ফোন নয়তো অফিসের হোয়াটসঅ্যাপ কিংবা মেসেঞ্জার গ্রুপেই সময় কেটে যায় অনেকটা। বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত বহু কর্মী এই পরিস্থিতির সাক্ষী। তবে পর্তুগালের (Portugal) কর্মরত যুবক-যুবতীদের জন্য রয়েছে সুখবর।
পর্তুগালের শ্রমিক আইনে এসেছে নানা পরিবর্তন। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এবার থেকে অফিসের সময় শুরুর আগে কিংবা সময় শেষের পর বস আর কোনও কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না। ফোন তো দূর, একটি মেসেজও পাঠাতে পারবেন না বস। নয়া নিয়ম না মানলে বসের বিরুদ্ধে নেওয়া যাবে ব্যবস্থাও।
[আরও পড়ুন: একসঙ্গে চার প্রেমিকা এসে হাজির বাড়িতে, পালানোর পথ না পেয়ে বিষ খেলেন যুবক!]
কিন্তু কেন নিয়মের বদল করা হল? করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘক্ষণ ধরে অফিস যাতায়াত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বেশিরভাগ মানুষের। হালফিলের ওয়ার্ক ফ্রম হোমেই (Work From Home) অভ্যস্ত হতে হয়েছে তাঁদের। ঘরকেই অফিস বানিয়ে ফেলেছিলেন বেশিরভাগ কর্পোরেট সংস্থার কর্মীরা। সমীক্ষা বলছে, তার ফলে কাজের সময়সীমা বেড়ে গিয়েছিল অনেকটাই। ৮ কিংবা ৯ ঘণ্টার অফিসের সময়সীমা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা। ঘুম ভেঙেই অফিস আর অফিসের কাজ সামলে ফের ঘুমোতে যাওয়াই হয়ে উঠেছিল রোজনামচা। তার ফলে কারও কারও মানসিক চাপ বেড়েছিল অনেকটাই। সে কারণেই নয়া নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।
নয়া নিয়মের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল। কেন যে এ নিয়ম সর্বত্র চালু হচ্ছে না, সে কথাই যেন ভাবছেন বসের জ্বালায় অতিষ্ঠরা।